সৌদিতে নিহত নড়াইলের তিন পরিবারে চলছে শোকের মাতম
প্রকাশিত : ২৩:০২, ৬ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ২৩:০৪, ৬ জুলাই ২০১৮
সম্প্রতি সৌদি আরবের জেদ্দায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সাত বাংলাদেশিদের মধ্যে তিনজনের বাড়ি নড়াইলে। দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার খবরে এসব পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
এদিকে নিহতদের লাশ দ্রুত বাংলাদেশে এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের দাবি করেছেন তাদের স্বজনেরা।
নিহতদের মধ্যে তিনজন হলেন নড়াইল সদরের আউড়িয়া ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের ইসরাফিল শেখ (৩৮), লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া গ্রামের সৈয়দ হোসেন আলী (৩৬) ও নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের মনিরুল ইসলাম (২৮)।
নিহত ইসরাফিল শেখের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার স্ত্রী সুলতানা বেগমসহ পরিবার-পরিজনের আহাজারি।
ইসরাফিলের বড় ছেলে সাজ্জাদ জানান, তার বাবা প্রায় ১৪ মাস আগে সৌদি আরবে যান। তবে ভালো কোনো কাজ না পেয়ে কষ্টে ছিলেন তিনি। এজন্য তাদের ঘাড়ে দেনার বোঝা রয়েছে।
ইসরাফিলের ভাই মহসিন শেখ বলেন, আমার ভাই আট লাখ টাকা ব্যয়ে সৌদি আরবে যান। সেখানে গিয়ে ভালো কাজ পাননি। এ পর্যন্ত বাড়িতে মাত্র এক লাখ টাকা পাঠিয়েছেন।
এসময় লাশ দ্রুত দেশে পৌঁছানোর পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবি করেন তিনি।
এলাকার লোকজন থেকে জানা যায়, ইসরাফিলের বড় ছেলে সাজ্জাদ অষ্টম ও ছোট ছেলে আজাদ সপ্তম শ্রেণীতে পড়ালেখা করছেন।
এদিকে নিহত সৈয়দ হোসেন আলী ও মনিরুল ইসলামের বাড়িতেও চলছে শোকের মাতম। বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকাবাসী ভিড় করছেন।
স্বজনদের আহাজারিতে এলাকার পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। প্রায় এক বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমান মনিরুল। আর ছয় মাস আগে সৌদি আরবে যান হোসেন আলী। বাড়িতে তার বাবা-মা ও স্ত্রী আছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৪ জুলাই (বুধবার) সৌদি আরবের জেদ্দায় সড়ক দুর্ঘটনায় সাত বাংলাদেশি নিহত হন। একটি মিনিবাসে করে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটির টায়ার বিস্ফোরণ হলে সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে সাত বাংলাদেশি নিহত হন। বাসটিতে ১৮ জন বাংলাদেশি শ্রমিক ছিলেন। অন্যরা গুরুতর আহত হয়েছেন।
এমএইচ/এসি
আরও পড়ুন