সৌদি থেকে রেমিট্যান্স আসার হার নিম্নমুখী
প্রকাশিত : ২৩:৪৭, ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২৩:৪৯, ৩০ জানুয়ারি ২০১৮
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেছেন, সৌদি আরব থেকে প্রতিবছর গড়ে দুই হাজার ৯২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে আসছে। তবে গত দুই অর্থবছরে এ রেমিট্যান্স আসার হার নিম্নমুখী।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে মন্ত্রী এ তথ্য প্রদান করেন। তার দেওয়া তথ্যের বিশ্লেষণে এ নিম্নমুখী প্রবণতা সম্পর্কে জানা গেছে।
সংসদে বাংলাদেশ ব্যাংকের বরাত দিয়ে মন্ত্রী জানান, সৌদি থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে তিন হাজার ১১৮ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তিন হাজার ৩৪৫ দশমিক ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দুই হাজার ৯৫৫ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দুই হাজার ৬৬৭ দশমিক ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এক হাজার ২০২ দশমিক ৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
নুরুল ইসলাম বিএসসি জানান, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ছাড়পত্র নিয়ে সৌদি আরবেই সর্বাধিক ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৭১ কর্মী গিয়েছেন। এর মধ্যে গতবছর গিয়েছেন পাঁচ লাখ ৫১ হাজার ৩০৮ জন। এছাড়া বর্তমানে বিশ্বের ১৬৫ দেশে মোট এক কোটি ১৪ লাখ ৬৪ হাজার ৯৪৩ জন বাংলাদেশি কর্মী রয়েছেন।
মন্ত্রী আরো জানান, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে তারা (১৬৫ দেশের প্রবাসীরা) দেশে ছয় দশমিক ৯৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন। গত অর্থবছরে একই সময়ে তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল পাঁচ দশমিক দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বর্তমান সরকারের নানামুখী উদ্যোগের কারণে ২০১৭ সালে রেকর্ডসংখ্যক ১০ লাখ আট হাজার ৫২৫ জন কর্মী বিদেশে গিয়েছেন বলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘অদক্ষ কর্মীর তুলনায় দক্ষ কর্মীর অভিবাসন ব্যয় কম, চাহিদা ও বেতন বেশি। তাই বর্তমান সরকার দক্ষ কর্মী তৈরির ওপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেছে। অধিক হারে জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে সারা দেশের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৩৮ থেকে বাড়িয়ে ৭০টি করা হয়েছে।’
সংরক্ষিত আসনের এক নারী সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, প্রতারণার দায়ে গত আট বছরে ১৩১টি রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ২০১০ সালে ২৬, ২০১১ সালে ২২, ২০১২ সালে ১৬, ২০১৩ সালে ১৭, ২০১৪ সালে ১৩, ২০১৫ সালে ১২, ২০১৬ সালে ১১ এবং ২০১৭ সালে ১৪টি এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এগুলোর লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে বহু এজেন্সির জামানতও বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
কেআই/টিকে
আরও পড়ুন