স্কুল মাঠ নয়, যেন পুকুর!
প্রকাশিত : ০৯:১৮, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
স্কুল মাঠ নয় যেন বড় কোন জলাশয়। এটি যে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের চিত্র দেখে বোঝার কোন উপায় নেই। এটা মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ৭নং উত্তর কৃষ্ণনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে জলাবদ্ধতার চিত্র। সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানির নিচে ডুবে যায় এই স্কুলের খেলার মাঠটি। এ কারণে বিদ্যালয় চলাকালে শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।
গত কয়েক দিন টানা ভারি বর্ষণের ফলে বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গণে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। এতে করে বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। প্রায় ৬২ শতাংশ জমির উপরে বিদ্যালয়টি ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখন এই বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণি হতে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ২শ' শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। আর এই সকল শিক্ষার্থীরা স্কুল মাঠেই খেলাধুলা ও শরীর চর্চা করে থাকে। এছাড়া জাতীয় সব অনুষ্ঠান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, শহীদ দিবস, স্বাধীনতা দিবসের মতো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান এই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণেই অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
কিন্তু বিদ্যালয়টির মাঠ নিচু হওয়ায় হালকা বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। পানি নিষ্কাশনে নেই কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা। তাই শুধু বার্ষকালই না বছরের যেকোনো সময় বৃষ্টি হলেই এই জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। আর দ্রুত পানি নিষ্কাসন না হওয়ার পানি থেকে তৈরি হয় দুর্গন্ধ।এছাড়া জন্ম নেয় বিভিন্ন প্রজাতির মশা।দেখা যায়,ক্লাস শেষে শিশু শিক্ষার্থীরা স্কুল মাঠে পানিতে নেমে খেলাধুলা করছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহআলম বেপারি বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই আমাদের বিদ্যালয়ের মাঠ ও পুরাতন ভবনের শ্রেণি কক্ষে পানিতে তলিয়ে যায়। তখন আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে অনেক সমস্যা হয়। অতিদ্রুত বিদ্যালয়ের মাঠটি ভরাট করা দরকার।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বদিউজ্জামান বলেন, গত তিন দিনের বর্ষায় বিদ্যালয়টি মাঠে বৃষ্টির পানি জমেছে তাই বিদ্যালয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নানান ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আমরা ইতি মধ্যেই বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি বরাদ্দ পেলে মাঠের সংস্কার করতে পারব।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ বলেন, বিদ্যালয়টি ইতোপূর্বে আমি পরিদর্শন করেছি। বিদ্যালয়ের পাঠদানে এবং শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় যেন কোন সমস্যা সৃষ্টি না হয় সে জন্য মাঠটি ভরাট করে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসবি/
আরও পড়ুন