স্কুল শিক্ষার্থীদের ২০ লাখ অ্যাকাউন্টে জমা ১৬২৫ কোটি টাকা
প্রকাশিত : ১৩:৩৭, ১০ মার্চ ২০২০
প্রতীকী ছবি
সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে আর্থিক সেবার আওতায় আনা এবং ছোটো থেকেই শিক্ষার্থীদের সঞ্চয়ের মনোভাব গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০১০ সালের নভেম্বরে শুরু হয় স্কুল ব্যাংকিং। শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই কার্যক্রমের জনপ্রিয়তা যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে স্কুল ব্যাংকিংয়ের অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ও সঞ্চয় স্থিতির পরিমাণও।
৯ বছরের ব্যবধানে খুদে সঞ্চয়ীদের অ্যাকাউন্ট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০ লাখ। একই সময়ে সঞ্চয়ের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা।
স্কুল শিক্ষার্থীদের ব্যাংকিং সুবিধা ও তথ্যপ্রযুক্তিগত সেবার সঙ্গে পরিচিত করানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালের ২ নভেম্বর স্কুল ব্যাংকিং বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করে।
এর পর থেকে দেশের ৫৯টি তফশিলি ব্যাংকের মধ্যে বর্তমানে ৫৫টি ব্যাংক স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এসব ব্যাংকে স্কুল শিক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৯১৩টি। আর এই হিসাবগুলোতে জমা হয়েছিল ১ হাজার ৫৪১ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
এর তিন মাস পর একাউন্টের হার ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেড়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাবসংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ১৯ লাখ ৯২ হাজার ৯০২টি। এ হিসাবগুলোর বিপরীতে মোট জমা হয়েছে ১ হাজার ৬২৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সংখ্যা ও স্থিতির দিক থেকে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর অবদান বেশি। বেসরকারি ব্যাংকসমূহ মোট ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৪০৭টি ব্যাংক হিসাব খুলেছে, যা মোট স্কুল ব্যাংকিং হিসাবের ৬৮ দশমিক ২১ শতাংশ। এসব হিসাবের বিপরীতে ১ হাজার ৩৪৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা আমানত সংগ্রহ করেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলো। যা স্কুল ব্যাংকিং হিসাবের মোট স্থিতির ৮২ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রীয় মালিকানার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ২৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খুললেও মোট স্থিতির মাত্র ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ তারা সংগ্রহ করেছে।
আমানত সংগ্রহের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছে বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড। মোট ৪ লাখ ৩১ হাজার ৮৮টি হিসাব খুলে শীর্ষে আছে ব্যাংকটি। যা মোট হিসাবের ২২ দশমিক ৪২ শতাংশ। মোট স্থিতির ভিত্তিতেও ব্যাংকটির অবস্থান সবার ওপরে। তাদের সংগৃহীত আমানত প্রায় ৪৮৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। যা মোট স্থিতির ৩০ দশমিক ১৭ শতাংশ।
এএইচ/
আরও পড়ুন