ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

স্পষ্ট বলে দিয়েছি, রোহিঙ্গাদের ফেরাতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:০২, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ২০:১৬, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ প্রয়োজনে এক বেলা খেয়েও নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবে, কিন্তু এই শরণার্থীদের যে ফিরিয়ে নিতে হবে, সে কথা মিয়ানমারকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।


মঙ্গলবার রাতে নিউ ইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, মিয়ানমারকে আমরা বলেছি, আপনাদের নাগরিক, তাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তাদেরকে নিরাপদ রাখতে হবে। তাদের আশ্রয় দিতে হবে। তাদের ওপর জুলুম অত্যাচার চলবে না।


স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ম্যানহাটনের ম্যারিয়ট হোটেলে এই আয়োজন করা হয়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন যুক্তরাষ্ট্রে।


অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি গণতন্ত্রের ভীত মজবুত করে দেশকে এগিয়ে নিতে চান। আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি তাঁর ভাগনি যুক্তরাজ্যের এমপি টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিকের উদাহরণ টেনে বলেন, জনপ্রিয়তা কীভাবে বাড়াতে হবে, তা আমি আমার সংসদ সদস্যদের বলেছি। বড় গাড়ি, বাড়ি, টাকা দিয়ে ভোট পাওয়া যাবে না, জনগণের মন জয় করেই নির্বাচনে জিততে হবে।


শেখ হাসিনা বলেন, আজকে দুর্ভাগ্য যে, মিয়ানমারে যে ঘটনা ঘটেছে, হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া, মেয়েদেরকে ধর্ষণ করা…  এমন পরিবেশ-পরিস্থিতি যেখানে সৃষ্টি হয়েছে, সেখান থেকে দলে দলে মানুষ এসেছে…  আমরা কী করব? মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দিতে হয়েছে।

কক্সবাজারে গিয়ে নিজের চোখে রোহিঙ্গাদের এই দুর্দশা দেখে আসার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সেখানে গিয়েছিলাম। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার কেবল নিজেদের কথা মনে হয়েছে। আমরাও তো একদিন এইভাবে ওই হানাদার পাকিস্তানিদের কারণে এ ঘর থেকে ওঘরে… আমাদের আশ্রয় খুঁজে বেড়াতে হয়েছে। আমাদের ঘড়বাড়ি সব জ্বালিয়ে ছাড়খার করেছে। সমগ্র বাংলাদেশে আমাদের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ জণগণ, তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়েছে। মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছে। আমাদের দেশের মানুষও তো আশ্রয় নিয়েছিল। ভারতে প্রায় এক কোটি শরণার্থী ছিল। আজকে যখন তারা বিপদে পড়েছে, অবশ্যই তাদের জায়গা দিতে হবে।


শেখ হাসিনা বলেন, অনেকেই প্রশ্ন করেছে, এত মানুষের খাবার দেবেন কীভাবে? আমি তাদের একটা কথাই বলেছি; ১৬ কোটি মানুষ আমাদের। এই ১৬ কোটি মানুষকে যদি খাবার দিতে পারি তাহলে এই সাত-আট লাখকে খাবার দিতে পারব না?


যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।


সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা এখন বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয়। বাংলাদেশে এখন খাদ্যের অভাব নেই, বিদ্যুতের অভাব নেই। আমরা এখন পাশের দেশের নাগরিকদের সাহায্য করার কথা গর্বের সঙ্গে বলতে পারি।
//এআর


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি