ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

স্বপ্নের চরিত্রে ভাসছেন জ্যোতি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১৯, ৮ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৬:১১, ৮ জানুয়ারি ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

আবারও সিনেমা বানাচ্ছেন প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য। জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সিনেমা ‘বাকিটা ব্যক্তিগত’র পরিচালক প্রদীপ্ত এবার শরৎচন্দ্রের ‘শ্রীকান্ত’ উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি করছেন সিনেমা। তবে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও ‘শ্রীকান্ত’ উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি হয়েছিল বাংলা সিনেমা ‘রাজলক্ষী ও শ্রীকান্ত’।

পরিচালক হরিদাস ভট্টাচার্য পরিচালিত সেই সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন মহানায়ক উত্তমকুমার ও সুচিত্রা সেন। তবে শুধু কলকাতাতেই নয়, ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশেও এই একই উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা বানিয়েছিলেন পরিচালক বুলবুল আহমেদ। তবে পরিচালক প্রদীপ্ত ভট্টাচার্যের এই সিনেমা একেবারেই বর্তমান প্রেক্ষাপটের উপর নির্মিত হচ্ছে। এর আগে পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপও শরৎচন্দ্রের দেবদাসকে আধুনিক ধারায় ফেলে ‘দেব ডি’ সিনেমা বানিয়েছিলেন। পরিচালক প্রদীপ্ত ভট্টাচার্যের সিনেমাটিও সেভাবেই তৈরি হচ্ছে।

শোনা যাচ্ছে এই সিনেমাতে উঠে আসবে, উদ্বাস্তু, নারীপাচার, জাতপাত, চোরাকারবারের মত নানা বিষয়। সিনেমায় নায়িকা রাজলক্ষী এক বাংলা থেকে অন্য বাংলায় পাচার হয়ে আসা একটি মেয়ে।

এ সিনেমাতে শ্রীকান্তের ভূমিকায় দেখা যাবে জনপ্রিয় অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী, আর রাজলক্ষীর ভূমিকায় বাংলাদেশের অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। ইন্দ্রনাথের চরিত্রে অভিনয় করবেন আর জে সায়ন। ইতিমধ্যেই সিনেমার বেশকিছুটা শ্যুটিং হয়ে গেছে।

সম্প্রতি অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি এই সিনেমার শ্যুটিং-এর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে।

ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর আগে জ্যোতি ফেসবুকে স্মরণ করেন অতীতকে। ‘আমার সাত-সতেরো’ শিরোনামের পোস্টে তিনি লেখেন, ‘সবুজ শ্যামল গ্রাম ছেড়ে এক বুক স্বপ্নের জোরে আলো ঝলমলে যাদুর শহর ঢাকায় এসেছিলাম ২০০৭ সালে। অভিনয়কে ভালোবেসে জীবনের সব স্বাদ-আহ্লাদ ত্যাগ করে আজ অব্দি যুদ্ধ করে যাচ্ছি একা। ফলাফলের হিসেব মেলানোর সাহস হয়নি এখনো। প্রতিদিনই যেন শূন্য থেকে শুরু হয় আমার!’

জ্যোতি লেখেন, ‘২০১৭-তে দেশের ভূগোল পেরিয়ে শুরু করছি নতুন যাত্রা। এখন আমার স্বপ্নদের আরও অনেক অনেক পাখা! সেই পাখায় ভর করে উড়ছি নতুন আকাশে। আবার কখনও পাখা খসে যাওয়ার বেদনা ঢাকি রঙিন মেকাপে। এগিয়ে যাই, ঠিকানা জানি না। আর কেই বা জানে স্বপ্নের ঠিকানা! তবু পাথেয় হয় আকাশছোঁয়া স্বপ্নের শক্তি। কাজ শুরু করছি এক নতুন দেশে, নতুন ইন্ডাস্ট্রিতে। আজ সুর্যোদয়ের সাথে সাথে ‘রাজলক্ষী’ হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছি। একদম জীবনের প্রথম দিনের শুটিংয়ের মতো অনুভূতি হচ্ছে! আমাকে রাখবেন আপনাদের শুভকামনায়।’

এরপর কয়েকদিন শুটিং করে জ্যোতি নতুন করে আবিষ্কার করেন নিজেকে। শুটিং এ অংশ নিয়ে জ্যোতির প্রতিক্রিয়া এমন, ‘যারা সিনেমাটি দেখতে যাবেন তাদের অনেকেই শরৎচন্দ্রের উপন্যাসটির ধারণা নিয়ে যাবেন, আবার অনেকে হয়তো কাহিনির এই সময়ের প্রেক্ষাপট কল্পনা করে যাবেন। আসলে কোনোটাই মিলবে না। এটাই নির্মাতার ম্যাজিক।’

এসএ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি