ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

স্বর্গসুখ পেতে চাইলে ঘুরে আসুন শিমলা-মানালী-লাদাখ

সাদ্দাম উদ্দিন আহমদ

প্রকাশিত : ১৯:৩৪, ৮ নভেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৯:২৪, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২

স্বচ্ছ-শুভ্র বরফ নিয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে খুঁনসুটিতে মেতে উঠতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন ভারতের কলকা, শিমলা, মানালী ও লাদাখ। সেখানে বাবুই পাখির মত বরফের ঘর বানাতে পারবেন। স্বপ্ন বুনতে পারবেন। প্রিয়জনকে নিয়ে স্বর্গসুখে গা এলিয়ে দিতে পারবেন। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নবদম্পত্তিরা মধুচন্দ্রিমা আসেন এখানে। হিম-শীতল আবহাওয়ায় এক ধরনের রোমাঞ্চ অনূভব করেন।


শিমলা-মানালীর চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য যে কোনো পর্যটকের মাথা ঘুরিয়ে দিতে পারে। একবার গেলে জীবনে কখনোই ভুলবেন না। কলকা থেকে সিমলা যাওয়ার সময় আপনি দেখতে পাবেন ১০২ টি সুরঙ্গ এবং রেল লাইনে রয়েছে ৮৬৪ টি সেতু। আর সিমলায় গিয়ে দেখতে পারেন -জাখু পাহাড় ও জাখু মন্দির, ভ্যাইসরিগেল লজ , সামার হিল , ম্যানরভিল্যে ম্যানশন হল, দ্য রিজ বা শৈলশ্রেণী, মল রোড,  ক্রাইস্ট চার্চ, সেন্ট মাইকেল ক্যাথিড্রাল, গেইটি থিয়েটার, কোটগড়, সিমলা জল-অববাহিকা অভয়ারণ্য,  কুফরি, ফাগু। আর নির্মল প্রকৃতির বুক চিড়ে গড়ে উঠা মানালিতে গিয়ে ঘুরে দেখতে পারেন হাদিম্বা দেবী মন্দির, মল এরিয়া, তিব্বতীয় মনস্ট্রিসহ আরো অসাধারণ সব জায়গা।

আকাশে উড়ার বাসনা থাকলে সেটিও পূরণ হবে। প্যারাগ্লাইডিংয়ের মাধ্যমে আপনার সেই সাধ ধরা দেবে। আরও দেখে আসতে পারেন আপেল বাগান, বরয়ের শুভ্রতা, আর মেঘতো আছেই। রয়েছে সোলাং ভ্যালি, রোথাংপাস, হাদিমবা টেম্পল, মনিকারন । বরফের মাঝে স্কেটিং করতে যেতে পারেন সোলং ভ্যালি । স্কেটিং করতে না পারলেও বরফে গড়াগড়ি দিতে চাইলে ঘুরে আসুন মানালি।

জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের একটি অংশ লাদাখ । লেহ্ ও কারগিল দুটি  জেলা নিয়ে লাদাখ গঠিত। লেহ্ প্রায় ৩৫০৫ মিটার উচ্চতায় এবং কারগিলের উচ্চতা হল প্রায় ২৭৫০  মিটার। লাদাখে তিব্বতী সংস্কৃতির প্রভাবের কারণে অনেকেই এটিকে ‘ছোট তিব্বত’ বলে ডাকেন । লাদাখে রয়েছে বিরল প্রজাতির উদ্ভিদ। রয়েছে মধ্য এশিয়ার অনুরুপ প্রাণিকুল। এই এলাকায় শীত যাপন করতে আসে উষ্ণ অঞ্চলের পাখি। ইচ্ছে করলে যাওয়ার সময় অথবা আসার সময় কলকাতাও ঢু মেরে আসতে পারেন। এতে করে একই ভ্রমণে কয়েকটা জায়গা দেখা হয়ে গেলো।

কলকাতা থেকে থেকে কলকা


কলকাতার নিউমার্কেট এলাকায় রাত্রিযাপনের জন্য অনেক হোটেল রয়েছে। আপনি ইচ্ছে করলে একদিন যাত্রাবিরতি দিয়ে কলকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে পারেন। কলকাতার হাওড়া থেকে কলকা যেতে হবে হাওড়া কলকা মেইল ট্রেনে, ট্রেনটি হাওড়া থেকে সন্ধা সন্ধা ৭.৪০টায় ছেড়ে ৩য়দিন ভোড় ৫টা নাগার কলকা পৌছবে।

কলকা থেকে সিমলা


কলকা-সিমলা ন্যারোগেজ (২ ফুট ৬ইঞ্চি) রেলওয়েটি আশপাশের গ্রাম, পাহাড়-পর্বতের জন্য বিখ্যাত । এবং এই রেলওয়েটি কলকা রেলওয়েটি সিমলা ভ্রমনের সবচেয়ে পর্বতময় রেলওয়ে। এই রেলওয়ে সোলান গ্রামের মধ্যে দিয়ে যায় যা ছোট সিমলা নামে পরিচিত। ট্রোন রাস্তার দুধারের  প্রকৃতি ভ্রমন পিপাসুদের মুগ্ধ করে। এই রাস্তাটির বিশেষ আকর্ষন কলকার সিভালিক মালভূমির বিভিন্ন স্থান ।

বর্তমানে কলকা সিমলা রেলওয়েতে মোট ১০২টি সুরঙ্গ পথ কার্যকর রয়েছে, বারোগেও সবচেয়ে দীর্ঘ সুরঙ্গ হলেও সিমলায় আবস্থিত শেষ সুরঙ্গ পরিণত হয়েছে বিখ্যাত স্থাপনায়। এছাড়া এই রেললাইনে রয়েছে ৮৬৪টি সেতু, আর্ক গ্যালারী নামে পরিচিত ৪৯৩সেতুটি তিনস্তরের গ্যালারী পাথরের তৈরি। কলকা থেকে সিমলায় যাতায়াতের জন্য রয়েছে কয়েকটা ট্রেন।

কলকা থেকে টয় ট্রেনের টিকেট করে আপনার সুবিধামতো সময়ে যেতে পারেন সিমলা। উনবিংশ শতকের মাঝামাঝি থেকে আজ পর্যন্ত কলকা থেকে সিমলা যাওয়ার জন্য টয় ট্রেন ব্যাবহার হচ্ছে। এটি খুবই ধির গতির এবং জনপ্রিয় যাতায়াত ব্যাবস্থা।

সিমলায় যা দেখবেন

জাখু পাহাড় ও জাখু মন্দির: এই স্থান টি ভ্রমণকারীদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। আশ্চর্য সব দৃশ্য দেখতে যেতে পারেন সিমলার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ পারেন জাখু পাহাড়ে, পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে জাখু মন্দির ।
ভ্যাইসরিগেল লজ: সূর্যাস্তা এবং সূর্যোদয়ের আশ্চর্য দৃশ্য দেখতে হলে যেতে হবে ভ্যাইসারিগেল লজ। লজটি অবসারভেটরি পাহাড়ের ওপর অবস্থিত। ভবনটি নির্মিত হয়েছিল ১৮৯৮সালে। ভবনটি ব্যবহৃত হতো ভারতের ভাইসরয়, লর্ড ডাফরিনের সরকারি বাসভবন হিসেবে।
সামার হিল: পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় স্থান সামার হিল। ওক, সেডার, রডোডেনড্রন এবং আরোও অনেক গাছপালাসহ প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে যেতে পারেন সামার হিলে। এছাড়া এখানে রয়েছে বিখ্যাত ভবন ম্যানরভিল্যে ম্যানশন হল অবস্থিত। যেখানে  মহাত্মা গান্ধী সিমলা ভ্রমণের সময় ছিলেন।
দ্য রিজ: এটি একটি উন্মুক্ত স্থান। দ্য রিজ্ বা শৈলশ্রেণীতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্ক আছে এবং বেশ কিছু কার্যক্রম আয়োজনের পাশাপাশি এখান থেকে পার্শ্ববর্তী পর্বতগুলির এক সুন্দর দৃশ্য পরির্শনেরও প্রস্তাব দেয়। শহরের এই অংশটি সিমলার জনজীবনের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটির  নীচের জলাশয় শহরের একটি প্রধান অংশে জল সরবরাহের দায়ভারে রয়েছে।
ক্রাইস্ট চার্চ:

উত্তর ভারতের ২য় প্রাচীন গির্জা ক্রাইস্ট চার্চ। এটি নির্মিত হয়েছিল ১৮৪৪সালে। এটি নকশায়িত কাচের জানালার জন্য জনপ্রিয়।
সেন্ট মাইকেল ক্যাথিড্রাল: সিমলার প্রথম ক্যাথলিক গির্জা সেন্ট মাইকেল ক্যাথিড্রাল। যা নির্মিত হয়েছিল ১৮৫০ সালে। এখানের ৫টি মার্বেলে বেদী ১৮৫৫ সালে ইতালি থেকে আনা হয়েছিল। এখানে নকশায়িত কাচেঁর জানালও রয়েছে।
গেইটি থিয়েটার: ১৮৮৭ সালে সিমলায় ব্রিটিশ বাসিন্দাদের বিনোদনের জন্য গেইট থিয়েটার বা নাট্যমঞ্চটি নির্মিত করা হয়েছিল। সূক্ষ শিল্পপ্রেমীরা অবশ্যই দর্শনীয় স্থানটি দেখে আসবেন। এখানে একটি প্রদর্শনী সভা, একটি আ্যম্ফিথিয়েটার ও অন্যান্য বহু সুযোগ- সুবিধা সহ একটি শৈল্পিক গ্যালারি রয়েছে।
কোটগড়: আপেল বাগানের জন্য প্রসিদ্ধ কোটগড়। হিমাচল প্রদেশের প্রথম ফলের বাগান স্থাপিত হওয়ার পরবর্তী সময়ে প্রধান আপেল রপ্তানীকরক স্থান হয়ে উঠে এটি।
সিমলা জল-অববাহিকা অভয়ারণ্য:  ১০.২৫ কিঃ মিঃ বিস্মৃত এলাকাটি বাদামী ভাল্লুক, কৃষ্ণকায় হরিণ, ভারতীয় লাল শেয়াল ও ডোরা-কাটা হায়নার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
কুফরি : সিমলা জেলার ক্ষুদ্র হিলস্টেশন কুফরি। কুফরি শব্দটি এসেছে কুফ্র থেকে যার অর্থ লেক। এখানে রয়েছে ‘হিমালায়ান ওয়াইল্ড লাইফ  জু’। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারী মাসে উইন্টার স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয় যা দেখতে দেশ বিদেশ হতে হাজারো পর্যটক আসেন।
ফাগু : প্রায় ২৫০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র ফাগু। শীতে স্কীয়িং, উইন্টারে স্পোর্টস, গ্রীষ্মে পিকনিক স্পট হিসেবে এটি খুবই জনপ্রিয়।
সিমলায় মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত স্প্রিং, তখন তাপমাত্রা থাকবে ১০ডিঃসেঃ থেকে ২০ডিঃসেঃ। মে থেকে জুন মাস পর্যন্ত সামার, তখন তাপমাত্রা থাকবে ১৬ডিগ্রি সেঃ থেকে ২৮ডিঃসেঃ। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মনসুন, তখন তাপমাত্রা থাকবে ১৩ডিঃসেঃ থেকে ২০ডিঃসেঃ।  অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস অটাম, তখন তাপমাত্রা থাকবে ১০ডিঃসেঃ থেকে ২৩ডিঃসেঃ। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়াবী মাস উইন্টার, তখন তাপমাত্রা থাবে -৭ডিঃসেঃ থেকে ১০ডিঃসেঃ।
কোথায় থাকবেন
সিমলায় থাকার জন্য বিভিন্ন মানের বিভিন্ন দামের হোটেল রয়েছে, সিমলায় থাকতে চাইলে চলে যান মল রোডে।  ভাড়া ৫০০রুপী থেকে ১০০০টার মধ্যে হোটেল পেয়ে যাবেন। অনলাইনে হোটেল বুক করতে চাইলে booking.com, agoda, makemytrip সহ আরো অনেক ওয়েসবাইট রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি সহজেই হোটেল ‍বুক করতে পারনেব।  
সিমলা থেকে মানালি


সিমলা থেকে মানালির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় হিমাচল রোড ট্রান্সপোর্টের কয়েকটা গাড়ি, গাড়ি ভাড়া ৩৮০রুপি,  সকাল ১০.৩০মিনিটে সন্ধা ৭টা ,রাত ৮.৪৫মিনিটের বাস ছাড়াও রয়েছে আরো ২টি বাস রাত ১০টায় ছেড়ে যায় যার ভাড়া ৪০০রুপি। আপনি ইচ্ছে কররে একটু বেশি টাকা খরচ করে হিমাচল প্রদেশ ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের বাসেও যেতে পারেন, এই সর্ভিসের বাস সকাল ৭.৩০মিনিটে ছেড়ে যায়, ভাড়া লাগবে ৫৫০রুপি, হোটেল খরচ বাচানোর জন্য। আপনি যদি ভ্রমনের সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে চান তাহলে রাতের বেলায় গাড়িতে উঠে লম্বা একটা ঘুম দিয়ে সকালে রওনা দিতে পারেন মানালির উদ্দেশ্যে। আপনি যদি সিমলায় রাত কাটাতে না চান তাহলে রাতের যেকোনো গাড়িতে রওনা হয়ে যান মানালির উদ্দেশ্যে। অন্যথায় সিমলায় বাজেটের মধ্যে একটা হোটেলে উঠে চমৎকার একটা ঘুম দিয়ে বিশ্রাম নিন, সকালে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে রওয়ানা দিন মানালির উদ্দেশ্যে। রাতের গাড়িতে মানালী রওনা দিলে সকালে লেহ যাওয়ার বাস না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাই শরীরকে বিশ্রাম দিতে এবং পরিবেশের সঙ্গে শরীরটাকে মানিয়ে নিতে রাতে মানালিতেই থাকুন।
মানালিতে ঘুরে দেখুন হাদিম্বা দেবী মন্দির, মল এরিয়া, তিব্বতীয় মনস্ট্রিসহ আরো অনেক সুন্দর জায়গা। পরেরদিন, মানালি থেকে লেহ’র উদ্দেশ্যে বাসের টিকিট কিনুন।
গরম পানির ঝরনা দেখতে  চাইলে চলে যান মানিকারন। সময়টাকে স্মরণীয় করে রাখতে চাইলে বরফ শীতল আবহাওয়ার গোসল করতে পারেন গরম পানির ঝরনায়। এখানে একটি মন্দির রয়েছে । এটি ভারতের তীর্থ যাত্রীদের কাছে খুবই পবিত্র।
দেখে আসতে পারেন আপেল বাগান, বরফের শুভ্রতা, আর মেঘতো আছেই। আরো রয়েছে সোলাং ভ্যালি, রোথাংপাস, হাদিমবা টেম্পল, মনিকারণ তার । বরফের মাঝে স্কেটিং করতে যেতে পারেন সোলং ভ্যালি ।

স্কেটিং করতে না পারলেও বরয়ে গড়াগড়ি দিতে হলেও চলে যান সেখানে।
কোন সময়ে যাবেন
এখানের একেক সময় একেক পরিবেশ বিরাজ করে। তাই প্রথমে ভাবুন কী দেখবেন। সেই হিসেব কষে ভ্রমণে যান । প্রথমে ভেবে দেখুন মানালী গিয়ে আপনি কি দেখতে চান, বরফ দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে । এই সময়টাতে পর্যটকের সংখ্যা বেশি থাকায় সব কিছুরই দাম বেশি হবে। বরফ দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে ডিসেম্বর থেকে  জানুয়ারীর মধ্যে। অল্প খরচে ঘুরে আসতে চাইলে জানুয়ারী – ফেব্রয়ারীতে যান। ঘরে বসে দেখতে পাবেন ভারী তুষারপাত।  মোটামুটি কম খরচেই ঘুরে আসতে চাইলে সেপ্টেম্বর এর মাঝ থেকে নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত যেতে পারেন। তখন দেখতে পাবেন সবুজ পাইন বন, ক্রিস্টমাস ট্রীর বাহার, বরফ ছাড়া  পাহাড়। পাহাড়ে মেঘের ঠুকাঠুকি  দেখতে হলে চলে যান জুন মাসের শেষ দিকে, এই সময়টাতে বৃষ্টির কারণে রাস্তা বিপজ্জনক হয়ে উঠে ।
মানালীতে কোথায় থাকবেন
মানালি শহরটি সিমলার মতো আটঁসাঁট না হওয়ায় মূল রাস্তার পাশেই গড়ে উঠেছে অনেক হোটেল। মানালীতে কম খরচেও থাকতে পারেন, বেশি খরচেও থাকতে পারেন। মূলশহর থেকে সোলং ভ্যালি পর্যন্ত হোটেল রয়েছে থাকতে পারনে দৈনিক খরচ ১হাজার ৫০০ থেকে ৪হাজার রুপির মধ্যে।


শেই প্যালেস


লে থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত শেই প্যালেস। শেই প্যালেসটি হলো রাজ পরিবারের সামার প্যালেস। প্রথম লাদাখি রাজা এই প্যালেসটি তৈরি করেছিলেন। প্যালেসের ভেতর রয়েছে শেই গুম্ফা। আর গুম্ফাতে আছে শাক্যমুনি বুদ্ধের ১২ ফুট দীর্ঘ মূর্তি।


নীল সরোবর


প্যাংগং সো আর সো-মোরারি লাদাখের দুটি বিখ্যাত সরোবর। তিব্বতি ভাষায় সো বলতে বোঝানো হয় সরোবর। ৫/৬জন বাসার মত ছোট গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে আসতে পারেন সরোবর থেকে। আর বাসে যেতে চাইলে নির্দিষ্ট সময়ে বাস স্টেশনে যেতে হবে।
/ এআর /


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি