স্বর্ণ ক্রয়ে পরিচয়পত্র সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক
প্রকাশিত : ২২:৪৩, ২৪ মে ২০১৮
অবশেষে ‘স্বর্ণ নীতিমালা-২০১৮’ অনুমোদন করেছে সরকারের অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। নতুন নীতিমালা কার্যকর হলে যে কোনো দোকানে স্বর্ণবিক্রিতে ক্রেতার কাছে জমা দিতে হবে পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের ফটোকপিসহ পূর্ণাঙ্গ যোগাযোগের ঠিকানা। এর আগে পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট জমা নেওয়া হতো না।
গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এই নীতিমালা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে কমিটির অন্যান্য সদস্য ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর বাণিজ্যসচিব শুভাশীষ বসু সাংবাদিকদের বলেন, স্বর্ণ নীতিমালা, ২০১৮ অনুমোদন করেছে কমিটি।
নতুন নীতিমালায় বন্ড সুবিধায় স্বর্ণ আমদানির সুযোগ রাখা হয়েছে। আমদানি করা স্বর্ণালংকার তৈরি করে দেশে বিক্রি করা ছাড়াও বিদেশে রফতানিও করার সুযোগ রাখা হয়েছে এতে। তবে দেশের ভেতরে বিক্রি কিংবা বিদেশে রফতানি—যেটাই হোক না কেন, স্বর্ণালংকারে কী পরিমাণ খাদ থাকবে তা নির্ধারণ করে দেবে সরকার। এ ছাড়া স্বর্ণের মান উল্লেখ করে প্রতিটি স্বর্ণালংকারে হলমার্ক থাকতে হবে।
এত দিন বিদেশ থেকে স্বর্ণ আমদানির সুযোগ থাকলেও তা ছিল অত্যন্ত জটিল। ফলে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা দেশে ব্যবহৃত পুরনো অলংকার, ব্যাগেজ রুলের আওতায় আসা স্বর্ণ ও চোরাচালান হয়ে আসা স্বর্ণ ব্যবহার করতেন। নতুন নীতিমালা কার্যকর হলে অনুমোদিত ডিলাররা বিদেশ থেকে বৈধ ও আনুষ্ঠানিকভাবে স্বর্ণের বার আমদানি করতে পারবেন। তারা ওই সব বার সরবরাহ করবে স্বর্ণালংকার প্রস্তুতকারী ও বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
বর্তমানে দেশে স্বর্ণ ও স্বর্ণালংকারের বাজারে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। স্বর্ণালংকারের মান ও খাদ সম্পর্কেও সুনির্দিষ্ট কোনো কিছুর উল্লেখ না থাকায় এত দিন ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। নতুন নীতিমালা কার্যকর হলে এসব বিষয়ে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে মনে করছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
আরকে// এসএইচ/
আরও পড়ুন