ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

স্বল্পমূলধনী শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৩৮, ১৮ নভেম্বর ২০২০

অযৌক্তিক আচরণ করছে দেশের পুঁজিবাজার। ভালো মুনাফা দেয়া সত্ত্বেও বেশিরভাগ শক্তিশালী ও বড় মূলধনী কোম্পানির শেয়ারের দাম পড়ছে। অন্যদিকে, দুর্বল ও স্বল্পমূলধনী শেয়ারের দাম বাড়ছে লাগামহীনভাবে। লেনদেনের গতি-প্রকৃতি ও দর ওঠানামার এই চিত্রকে অসঙ্গতিপূর্ণ মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের আশঙ্কা, এমন পরিস্থিতির পেছনে কাজ করছে জুয়াড়ি চক্র।

ব্যবসা-সফল প্রতিষ্ঠান, দক্ষ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, সাথে গত কয়েক বছরের ভালো মুনাফা দেয়ার ধারাবাহিকতা। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সাধারণত এ বিষয়গুলোই বিবেচনায় নেয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশ্লেষকরা। তবে, দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এসব পরামর্শ কাজে আসছে না। বাড়ছে মন্দ শেয়ারের দাম। কখনো একটি-দুটি খাতেই আটকে আছে লেনদেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি কোনো স্বাভাবিক পুঁজিবাজারের বৈশিষ্ট্য নয়। 

ধারাবাহিকভাবেই বিনিয়োগকারীদের ভালো মুনাফা দিয়ে আসছে বেশ কিছু কোম্পানি। তিতাস গ্যাস, সামিট পাওয়ার, উত্তরা ব্যাংক, পাওয়ারগ্রিড, একমি ল্যাবরেটরিজ, পদ্মা অয়েলের মতো ভাল মৌলভিত্তির প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের ক্রেতাই মিলছে না। পড়ে আছে বিএসইসির বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন দরের আশপাশে। 

অন্যদিকে, তুলনামুলক কম মুনাফা দিয়েও এক বছরের ব্যবধানে প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্স, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, জিকিউ বলপেনের মতো কিছু শেয়ারের দাম বেড়েছে সাড়ে ছয়শ’ শতাংশ পর্যন্ত।

কোনো ধরনের লভ্যাংশ না দেয়ার পরও কিছু মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মূল্য এক মাসেই বেড়েছে দ্বিগুণ বা তারও বেশি।
    
বিশেষজ্ঞারা বলছেন, ছোট প্রতিষ্ঠানের শেয়ার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে খুব সহজেই কারসাজি করতে পারে জুয়ারি চক্র।  

পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, পুরো মার্কেটটা জুয়াড়িদের হাতে। এই জুয়াড়িরা কখনও ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে ঢুকছে, কখনও মিউচুয়াল ফান্ডে ঢুকছে। যে বাজারের টোটাল টার্নওভারের প্রায় ৮০% জুয়ার মাধ্যমে হয় সে বাজারে মৌলভিত্তির শেয়ারের দাম হবেই না।

কারসাজি বন্ধ করে বাজারকে স্বাভাবিক আচরণে ফেরাতে কঠোর নজরদারির পরামর্শ এই বিশেষজ্ঞের। 

অধ্যাপক আবু আহমেদ আরও বলেন, রেগুলেটরই পারে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে। তবে এটা ভালো কোন পদক্ষেপ নয়, সামনে ভালো ভালো কোম্পানির শেয়ার যোগান দেয়াই হবে উত্তম।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির পাশাপাশি স্টক এক্সচেঞ্জগুলোরও দায়িত্ব আছে কারসাজি ঠেকাতে। তবে বিনিয়োগকারীদের আরও সচেতন হওয়ার তাগিদ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের। 

ডিএসই ব্যবস্থাপনা পরিচালক সানাউল হক বলেন, আমরা কর্পোরেট গভার্নেস পদ্ধতির কথা বলি কিন্তু রুসলগুলো কার্যকর করি না। এখন আইন প্রয়োগ হচ্ছে, আস্তে আস্তে বাড়বে। একদিনে বা রাতারাতি তো সম্ভব নয়, আমি মনে করি আগামী ছয় বাস/এক বছরের মধ্যে একটা ভাল ফলাফল চলে আসবে।

এদিকে, ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে শেয়ার কারসাজি ঠেকাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তা, পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের ডাটাবেইস তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি।

এএইচ/এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি