স্বামীর কিডনি বিক্রির টাকা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালালেন স্ত্রী!
প্রকাশিত : ১২:২৩, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
অভাব-অনটনের সংসার। মেয়ের পড়াশোনা, বিয়ের খরচ জোগাতে স্বামীকে কিডনি বিক্রি করতে বলেছিলেন স্ত্রী। পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্ত্রীর কথা শুনেছিলেন স্বামীও। তার আশা ছিল, এতে পরিবারের দারিদ্র্য কিছুটা হলেও কমবে এবং মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা সহজ হবে। কিন্তু তিনি জানতেন না, তাঁর স্ত্রীর মনে অন্য কিছু চলছে! আর কিডনি বিক্রি হতেই হাতে আসা লক্ষাধিক টাকা নিয়ে ওই নারী তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন।
সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। আদালত সূত্রের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ায় পর প্রথমে থানায় গিয়েছিলেন হাওড়ার সাঁকরাইল ব্লকের ধুলাগড়ি হাটতলা এলাকার বাসিন্দা পিন্টু বেজ। পরে হাইকোর্টে হেবিয়াস কর্পাস মামলা করেছিলেন তিনি। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসসহ একাধিক গণমাধ্যমের।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৬ বছর আগে প্রেম করে সুপর্ণ বেজকে বিয়ে করেন পিন্টু বেজ। তাদের ১২ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তবে কয়েক বছর ধরে পিন্টু-সুপর্ণের সংসারে চরম অনটন চলছিল। তাই স্ত্রীর অনুরোধে কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন পিন্টু। প্রায় এক বছরের চেষ্টার পর তিন মাস আগে একজন ‘ক্রেতা’ খুঁজে পান তিনি। পিন্টু ১০ লাখ রুপির (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় সোয়া ১৪ লাখ টাকা) বিনিময়ে নিজের একটি কিডনি বিক্রি করেন। তিনি আশা করেছিলেন, এতে পরিবারের দারিদ্র্যতা কিছুটা হলেও কমবে এবং মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা সহজ হবে।
কিন্তু স্বামীর কিডনি বিক্রির পর কিছুদিনের মধ্যেই সুপর্ণা সেই টাকা নিয়ে ব্যারাকপুরের সুভাষ কলোনির বাসিন্দা, পেশায় রঙ মিস্ত্রি এক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যান। এ ঘটনার পর হতভাগ্য স্বামী পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন এবং স্ত্রী ও তার প্রেমিকের সন্ধানও পান। পরে পরিবারের সদস্য, শ্বশুর-শাশুড়ি ও ১০ বছরের মেয়েকে নিয়ে সেখানে হাজির হন তিনি। তবে এতে কোনো কাজ হয়নি। বরং স্ত্রী উল্টো স্বামীকে ডিভোর্স দেয়ার হুমকি দিয়ে বলেন, ‘যা পারো, করো!’ এ ঘটনায় হতভাগ্য স্বামী এখন আর্থিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।
মামলায় পুলিশের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, তদন্তকারীদের কাছে আগেই ওই নারী অর্থাৎ পিন্টুর স্ত্রী লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন যে, তিনি স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়েছেন। তার প্রেমিক এবং তিনি এখন স্বামী–স্ত্রীর মতো থাকছেন। কেউ তাকে জোর করে কিছু করায়নি।
এমবি//
আরও পড়ুন