‘স্যার’ না বলায় ক্ষেপে গেলেন সুনামগঞ্জের এসপি
প্রকাশিত : ১৫:২৬, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
স্যার না বলায় চটে গেলেন সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার আ.ফ.ম আনোয়ার হোসেন খান। ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি বলতে থাকেন ‘যান আমার কি ছিড়তে পারেন।’
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এসপির এমন অপেশাদারিত্ব আচরণ ও অশ্লীল কথা বলা একটি ভিডিও ক্লিপ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ নিয়ে চলছে তোলপাড়। ক্ষুণ্য হচ্ছে গোটা পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি।
ভুক্তভোগীকে এসপি আনোয়ার হোসেন বলতে থাকেন, ‘আজ চাকরি ছাড়লে কাল ইলেকশন করতে পারবো, বিএনপির সবচেয়ে বড় বড় নেতার সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে।’
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার এসপি আ. ফ. ম আনোয়ার হোসেন খানের এমন দম্ভোক্তির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে ‘স্যার’ সম্বোধন না করায় সাহেব বলায় এসপি এমন দম্ভোক্তি করেন। এসময় গণঅধিকার পরিষদের এক নেতাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ারও হুমকি দেন তিনি।
পরে পৌর শহরের হোসেন বখত চত্বরে গণঅধিকার পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসপিকে প্রত্যাহারের দাবি জানান দলটির নেতাকর্মীরা।
সময় সংবাদ সম্মেলন তারা অভিযোগ করে বলেন, ২০২৩ সালে গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ। এ বিষয়ে বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে যান তারা। এসময় ‘স্যার’ সম্বোধন না করায় সাহেব বলায় ক্ষেপে যান এসপি।
উত্তেজিত হয়ে গণঅধিকার পরিষদের নেতা এম এস মাসুম আহমদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন, ঘাড় ধরে বের করে দিতে বলেন তিনি। এসপি বলতে থাকেন, যান আমার কি ছিড়তে পারেন, যা না!
বুধবার রাতে সুনামগঞ্জ গণঅধিকার পরিষদ নেতা তিমন চৌধুরী বলেন, “মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা কথা বলতে গিয়েছিলাম। কিন্তু উনাকে স্যার না বলে ‘সাহেব’ বলতেই উনি চরমভাবে চটেন যান, অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে নাজেহাল করেন এসপি।
ঘটনার সময় এসপির কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ-অপস) তাপস রঞ্জন ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।
এএইচ
আরও পড়ুন