ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

স্রষ্টার অপছন্দনীয় কাজ করলে তিনি অসন্তুষ্ট হন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩৮, ১৬ এপ্রিল ২০২০ | আপডেট: ১৫:১২, ১৬ এপ্রিল ২০২০

সাম্প্রতিক সময়ে পৃথিবীব্যাপী এক ভয়-আতঙ্ক বিরাজ করছে। যে পরিমাণ ভয়-আতঙ্ক মানুষের মনে বাসা বেঁধেছে তার শতভাগের এক ভাগও যদি স্রষ্টার বিরাগভাজন হওয়ার ভয়ে হত তাহলে যা ঘটছে তা কোনোভাবেই দানা বাঁধতে পারত না।

প্রশ্ন জাগতে পারে যে, স্রষ্টার বিরাগভাজন হওয়ার ভয় কাজ করলে কী হতো? আসলে স্রষ্টার অপছন্দনীয় কাজ করলেই তিনি অসন্তুষ্ট হন এবং এই অপছন্দনীয় কাজের একটা বড় বিষয় হচ্ছে অন্যায় করা, জুলুম করা। সেই জুলুম অন্যের ওপরে, সেই জুলুম নিজের ওপরে।

আর যখন একজন মানুষ প্রকৃতিসম্মত কাজ করেন, নিজের যথাযথ যত্ন নেন, অন্যের ওপর কোনো অন্যায় করেন না তখন তার ওপর স্রষ্টা সন্তুষ্ট হন।

আমরা অধিকাংশ মানুষ নিজের ওপর জুলুম করি। স্রষ্টা এই দেহটাকে বানিয়েছেন আত্মার বাহন হিসেবে; আত্মার এক স্তর থেকে আরেক স্তরে গমনের বাহন হিসেবে। যখন আমরা এই দেহের যত্ন নিতে ভুলে যাই বা দেহের জন্যে ক্ষতিকর কাজ করি; যেমন সেই কাজ অস্বাস্থ্যকর খাবার হতে পারে; ক্ষতিকর পানীয় হতে পারে; বদ অভ্যাস হতে পারে। এমনকি সময়মতো খাওয়া-দাওয়া না করাও হতে পারে। প্রয়োজনীয় যে উপাদান শরীরের সুস্থতার জন্যে প্রয়োজন, সেগুলো থেকে নিজেকে বঞ্চিত করাও হতে পারে।

অর্থাৎ যখন কেউ নিজের এবং অন্যের জন্যে ক্ষতিকর কাজ করে তখন স্রষ্টা অসন্তুষ্ট হন এবং তখনই একজন মানুষ স্রষ্টার বিরাগভাজন হয় এবং তখন স্বাভাবিক নিয়মে প্রকৃতির যে শাস্তি এই শাস্তিটা তার ওপর নেমে আসে।

আমরা বালা-মুসিবত, বিপদ-আপদ-গজব এগুলোর জন্যে অন্যকে দোষারোপ করি। কিন্তু আল্লাহতায়ালা সূরা ফজরের (১৭-২০) নম্বর আয়াতে খুব সুস্পষ্টভাবে বলেছেন যে-

‘না! এ কথা সত্য নয়। আসলে এটা তোমাদের কর্মফল। তোমরা এতিমের প্রতি সম্মানজনক আচরণ কর না, অভাবী অসহায়কে অন্নদানে-পরস্পরকে উৎসাহিত কর না, অন্যের উত্তরাধিকারের সম্পদ নিজেরা আত্মসাৎ কর, আর ধনসম্পত্তির প্রতি তোমাদের আকর্ষণ আসক্তিতে পরিণত হয়েছে।’

আসলে যখন মানুষ নিজেকে সুস্থ রাখার পরিবর্তে, সুস্থ জীবনাচারের পরিবর্তে শুধু ধনসম্পত্তি অর্থবিত্তের পেছনে ছোটে এবং সবকিছু সে নিজের জন্যে আত্মসাৎ করতে যায়, অন্যের দিকে তাকায় না; তখনই আসলে সমাজে-সংসারে বালা-মুসিবত বিপদাপদ-বিপর্যয় নেমে আসে।

আল্লাহর রসুল (স) বলেছেন যে, তুমি তাওয়াক্কাল করো আল্লাহর উপরে। কিন্তু উটটাকে ভালোমতোন খুঁটির সাথে বেঁধে রেখো। তারপরে আল্লাহর ওপরে ছেড়ে দাও।

অর্থাৎ জীবন চলার পথেও সুস্থতার জন্যে, ভালো থাকার জন্যে, বালা-মুসিবত থেকে মুক্ত থাকার জন্যে যা করণীয় এই করণীয়টাও আপনাকে করতে হবে। এবং যখনই করণীয় করবেন, আল্লাহর রহমতের ছায়ার মধ্যে আপনি চলে আসবেন এবং আল্লাহ আপনার ওপর রহমত করবেন।
এসএ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি