সড়কের পাশে ইফতার হাতে মেয়র রায়হান
প্রকাশিত : ১৫:৪৯, ১৬ মার্চ ২০২৪
অসহায় ও নিম্নআয়ের রোজাদাররা ইফতার থেকে যাতে বঞ্চিত না হয় তাই এই রমজানে ৬ হাজার মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়হান।
প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও তিনি প্রথম রমজান থেকে কবিরহাট পৌরসভার জিরো পয়েন্টে অসহায়, ছিন্নমূল ও পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে এ ইফতার বিতরণ শুরু করেন। নিম্নআয়ের মানুষেরা যাতে ইফতারে ভাল খাবার খেতে পারেন তাই মাসব্যাপী চলবে এই আয়োজন।
এই কর্মসূজির আওতায় ধনী-গরিব নির্বিশেষে রাস্তাঘাটে চলাচলরত রোজাদার, পরিবহন শ্রমিক যেমন বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, অটোরিকশা ও সিএনজির যাত্রী এবং চালকরা বিনামূল্যে মাসব্যাপী এই ইফতার পাবেন।
কবিরহাট পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে রমজানের ইফতার আমি এখান থেকেই নিচ্ছি। মেয়রের দেওয়া খাবারেই আমি পরিবারের সবাইকে নিয়ে ইফতার করি।’
বসুরহাট-সোনাপুর সড়কের সিএনজি চালক শাহ আলম জানান, আমি ১৫ বছর ধরে এই রোডে গাড়ী চালাই, আগে সময়ের অভাবে ইফতার করতে পারতাম না, অনেক সময় পানি পানের মাধ্যমে ইফতার করতাম। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে দেখছি, কবিরহাট জিরো পয়েন্ট মোড়ে এলে ইফতারের প্যাকেট পাওয়া যায়। এটা দিয়েই আমরা ইফতার করি।
কবিরহাট পৌরসভার রিক্সাচালক দেলোয়ার হোসেন জানান, সারাদিন পরিশ্রম করে ইফতার তৈরি করা সম্ভব হয় না। ৩০ রমজানের মধ্যে অধিকাংশ দিনই এখান থেকে ইফতারি নিয়ে যাই।
কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন আজিম জানান, পৌর মেয়র ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ওনার এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। ওনাকে দেখে সমাজের বিত্তবানরাও উৎসাহিত হবেন।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র জহিরুল হক রায়হান বলেন, ‘প্রতিবছর রোজাদারদের জন্য ইফতারের আয়োজন করি। এ বছর প্রধানমন্ত্রী ইফতার মাহফিল না করার জন্য নিরুৎসাহিত করেছেন। এর পরিবর্তে গরীব দুঃখীদের মাঝে ইফতার বিতরণ করার জন্য আহবান জানিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশনায় মাসব্যাপি এই ইফতার বিতরণ করা হচ্ছে।’
মেয়র আরও বলেন, ‘প্রথম রমজানে ২০০ প্যাকেট দিয়ে শুরু করেছি। রমজান যত বাড়ে ততই প্যাকেটের পরিমাণও বাড়ছে। যত বেশি চাহিদা হবে তত বেশি প্যাকেট আমরা দেব, যেন কোনো মানুষ খালি হাতে ফিরে না যায়।’
ইফতার পরিবেশনের দায়িত্বে থাকা কবিরহাট উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল বলেন, ‘ইফতারের প্রতিটি প্যাকেটে খেজুর, ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, জিলাপি, মুড়ি, পানি রয়েছে। শুধু পরিবহন চালক-শ্রমিক নয়, আশপাশের মসজিদ, মাদ্রাসায় ইফতার দেয়া হয়।’
এএইচ
আরও পড়ুন