সড়কে বৃষ্টির পানিতে পশু কোরবানি নয় : সাঈদ খোকন
প্রকাশিত : ১৮:২৫, ২৪ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ১৭:২৭, ২৬ আগস্ট ২০১৭
এ বছর ঈদুল আজহায় সড়কে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে পশু কোরবানি না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।
গত কয়েক বছরের মতো এবারও ঈদুল আজহায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনর পক্ষ থেকে ৬২৫টি স্থান পশু কোরবানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে মেয়র জানান।
তিনি আরো বলেন, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নগরবাসীর বাসায় বাসায় ব্লিচিং পাউডার, বর্জ্যের ব্যাগসহ অন্যান্য পরিচ্ছিন্নতা সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া হবে।
গতবছর কোরবানির ঈদে বৃষ্টির কারণে নাকাল হতে হয় রাজধানীবাসীকে। পশু কোরবানির জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ছয় শতাধিক এবং দক্ষিণে চার শতাধিক স্থান নির্ধারিত থাকলেও অধিকাংশ জায়গায় পানি অপসারণের ব্যবস্থা ছিল না।
বৃষ্টির মধ্যেই পশু কোরবানি দেওয়ায় পশুর রক্ত, বর্জ্যসহ নানা আবর্জনা সঠিক স্থানে না ফেলায় তা এসে মিশে যায় নগরীর সড়কে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে। পরে পশুর রক্তমিশ্রিত পানিতে ডুবে থাকা রাস্তার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় সিটি করপোরেশনকে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনে কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, “যদি কোরবানির আগে পরে বৃষ্টি হয়, সেক্ষেত্রে পানি সরে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। নতুবা কোনো শুকনো জায়গায় কোরবানি করতে হবে। সড়কে জমে থাকা বৃষ্টির পানির সঙ্গে কোরবানির পশুর রক্ত যাতে মিশে না যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।”
গতবছরের অভিজ্ঞতা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মেয়র বলেন, কোরবানির পশুর রক্ত বৃষ্টির পানিতে মিশে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।
“গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সামান্য ভুলের কারণে অনেক বড়সড় ঘটনা ঘটে যেতে পারে, যা দেশের জন্য ক্ষতিকর। এখন ডিজিটাল যুগ। এক স্থানের খবর মুহূর্তে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। কোরবানির পশুর রক্তে সড়কে জমে থাকা পানি যদি রঞ্জিত হয়ে একাকার হয় তাহলে তা দেশের প্রতি একটা নেতিবাচক বার্তা দেবে। বিদেশি কোনো বিনিয়োগকারী যদি এমন ছবি দেখে তাহলে তার একটা নেতিবাচক ধারণা জন্মাতে পারে। সুতরাং এনিয়ে আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।”
আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে আরও কিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এর মধ্যে রয়েছে হাট মনিটরিং, ঈদের তিনদিন আগে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থা, পশু কোরবানির স্থান ওয়েবসাইটে প্রকাশ, পরিচ্ছন্নতা সচেতনতা বাড়াতে সরকারি প্রচারকাজে সহযোগিতা।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকার ঈমাম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জ্যেষ্ঠ নাগরিকরা অংশ নেন। কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন তারা।
কেআই/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন