ঢাকা, বুধবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

হঠাৎ মাথার চুল ‘গায়েব’ হয়ে যাওয়ার কারণ কী জানেন?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:০০, ১৬ জুন ২০২০

Ekushey Television Ltd.

আস্তে আস্তে চুল ঝরে যাওয়া একটি স্বাভাবিক নিয়ম। তবে অকালে চুল ঝরে যাওয়া চিন্তার বিষয়। এমনও ঘটনা ঘটছে যে, হঠাৎ করেই মাথার যেখান সেখান থেকে চুল ‘গায়েব’ হয়ে যায় বা মাথার একটা অংশের চুল ঝরে গিয়ে গোলাকৃতির টাক পড়ে যায়। এর জন্য দায়ী শরীরের এক রকম অটো ইমিউন ডিজিজ। যাকে চিকিৎসকরা ‘অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা’ বলেন থাকেন।

যে কোনও বয়সেই এই সমস্যা দেখা দিতে পারে, এমনই বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। ‘অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা’-এ আক্রান্ত হলে শরীরের একটি নির্দিষ্ট অংশের হেয়ার ফলিকল আক্রান্ত হয় এবং ওই অংশের চুল রাতারাতি ঝরে যায়। শুধু তাই নয়, ওই অংশে নতুন চুল গজানোর প্রক্রিয়াও বাধাপ্রাপ্ত হয় অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটার প্রভাবে। 

বিশেষজ্ঞরা জানান, শ্বেতকণিকার আক্রমণে ওই বিশেষ অংশের হেয়ার ফলিকলের কার্যক্ষমতা সম্পূর্ণ রূপে নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে মাথার একটা অংশের চুল ঝরে গিয়ে গোলাকৃতির টাক দেখা দেয়।

‘অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা’-এ আক্রান্ত ব্যক্তির মাথা, দাড়ি, ভ্রু ইত্যাদি অংশের চুল আচমকাই প্রায় গোলাকৃতিতে ঝরে গিয়ে ফাঁকা হয়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানান, যারা থাইরয়েড বা ডায়াবেটিসের মতো অটো ইমিউন ডিজিজে আগে থেকেই আক্রান্ত, তাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখার আশঙ্কা রয়েছে। তবে প্রথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা শুরু করলে এই রোগ নির্মূল করা সম্ভব। 

এছাড়া কখনও কখনও দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার প্রয়োজন হয় ‘অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা’-এ আক্রান্ত রোগীর। এক্ষেত্রে ওষুধ, ইনজেকশন বা আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মিকে কাজে লাগিয়ে এই রোগের চিকিৎসা করা হয়।

বিশেষজ্ঞরা জানান, এটি কোন সংক্রামক রোগ নয়। এর অন্য কোনও ক্ষতিকারক প্রভাবও শরীরে পড়ে না। তবে মাত্র ১০ থেকে ২০ শতাংশের ক্ষেত্রে এই রোগ বংশগত হতে পারে।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি