হাওরাঞ্চলের ধামাইল গান রক্ষায় একদল তরুণী (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৫২, ৮ জুন ২০২১ | আপডেট: ১১:৫৩, ৮ জুন ২০২১
বিয়ে, পূঁজা-পার্বন কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠানে এক সময়ে জনপ্রিয় ছিল হাওরাঞ্চলের ধামাইল গান। আকাশ সংস্কৃতি আর পৃষ্টপোষকতার অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী সেই গান। লোকজ গানের এই ধারাটি রক্ষায় উদ্যোগ নিয়েছে খালিয়াজুরী হাওরাঞ্চলের একদল তরুণী।
হাওরাঞ্চল ভৌগোলিক ও প্রাকৃতিকভাবে যেমন ভিন্ন। তেমনি রয়েছে এর আলাদা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এ ঐতিহ্যের অন্যতম ধামাইল গান। লোকগীতির বিলুপ্ত প্রায় সেই ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন হাওরপাড়ের মেয়েরা।
স্থানীয় ধামাইল শিল্পিরা জানান, একটু সহযোগিতা পেলে আমাদের আরেকটু ভালো হতো। আমাদের ধামাইলিয়া টিমটিকে একটু এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতাম।
খালিয়াজুরী উপজেলার নগর ইউনিয়নের তাতিয়া গ্রামের শিক্ষিত তরুণীরা নিজেদের উদ্যোগ আর স্বেচ্ছাশ্রমে বিভিন্ন গ্রামে আয়োজন করছেন ধামাইল গানের আসর। ‘মহুয়া ধামাইল দল’ নামের সংগঠনের ১৪ সদস্য বিভিন্ন অনুষ্ঠান ঘিরে আযোজন করে এই আসর।
ধামাইল শিল্পিরা আরও জানান, গান মানুষের মনের খোরাক কিন্তু পেটেরও তো একটা খোরাক আছে। যদি পেটে খাবার না পড়ে তাহলে তো গান দিয়ে আমাদের চলে না। সরকারের কাছ থেকে সহযোগিতা আশা করছি।
ধামাইল গানের প্রবর্তক লোকসঙ্গীতের পুরোধা সাধক কবি রাধারমন দত্ত। পরবর্তীতে এ গান সৃষ্টিতে আরও অনেকেই অবদান রেখেছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, ছোট থাকতে দেখতাম আমার মা-মাসিরা ধামাইল গাইছে। বিয়ে লাগলে তারা রাতভর গান গাইতো। এটার পৃষ্ঠপোষকতা নেই এজন্য আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হচ্ছে।
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। জানিয়েছে হাওরাঞ্চলের সংস্কৃতি রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার কথা।
খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এইচ.এম আরিফুল ইসলাম বলেন, এটার পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন আছে। তারা ইতিমধ্যে আমাদের কাছে একটা প্রস্তাব করেছে। সেই প্রস্তাবটা আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলে প্রেরণ করবো।
ধামাইল গানের ছন্দ আর সুর টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা।
ভিডিও-
এএইচ/
আরও পড়ুন