হাজারো চড়াই উতরাই পেরিয়েও এগিয়ে চলছে আওয়ামী লীগ
প্রকাশিত : ১২:০৯, ১৯ আগস্ট ২০১৬ | আপডেট: ১২:১০, ১৯ আগস্ট ২০১৬
ঘাতকরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি। একই বছর ৩ রা নভেম্বর জাতীয় ৪ নেতাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নৃশংসভাবে হত্যা করে তারা। বঙ্গবন্ধু কন্যা হাসিনাকেও দেশে ফেরার পর বারবার হত্যার চেষ্টা হয়েছে, এসব উপেক্ষা করেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগ।
১৫ আগস্ট ১৯৭৫, কী নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো জাতির জনককে সপরিবারে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবনে। বিদেশে থাকায় বেঁচে গেলেন তার দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। জার্মানিতে শূন্য চোখে তাকিয়ে ছিলেন তারা বাকরুদ্ধ বিস্ময়ে!
আওয়ামী লীগের নেতারা তখন দ্বিকবিদিক জ্ঞানশূন্য। শুরু হয় গণ-গ্রেফতার; বাদ পরেননি জাতীয় ৪ নেতাসহ জিল্লুর রহমান, তোফায়েল আহমেদ ও আবদুর রাজ্জাকও। ৩ রা নভেম্বর অবৈধভাবে কারাগারেই হত্যা করা হয় চার নেতাকে। কঠিন সেসব দিনের স্মৃতিচারণে আজো শিউরে ওঠেন দলের বর্ষীয়ান নেতারা।
ঘুরে দাড়াতেই অনিরাপদ জেনেও সকল প্রাণভয় তুচ্ছ করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে যেন হত্যার প্রধান টার্গেট বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৮৩ সালে ঢাকায় গ্রেনেড হামলা, ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের সামনে মিছিলে গুলিবর্ষণ। আবারো, ১৯৮৯ সালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ফ্রিডম পার্টির ক্যাডাররা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ছোড়ে।
১৯৯১ সালেও রাসেল স্কোয়ারে, ১৯৯৩ সালে চট্টগ্রামে সভায় চলে গুলি ও বোমা হামলা। ২০০০ সালের পূর্ব নির্ধারিত জনসভাস্থল কোটালিপাড়া থেকে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ৭৬ কেজি বিস্ফোরকের বোমা উদ্ধার করা হয়।
সবশেষ ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের ২৪ নেতা-কর্মী নিহত হন। নেতাকর্মীদের মানবঢালের বেষ্টনীর কারণে প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা।
হাজারো চড়াই উতরাই পেরিয়েও এগিয়ে চলছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা, এগিয়ে চলছে আওয়ামী লীগ। দেশ এগিয়ে যাবে সমৃদ্ধির পথেই, এমন অঙ্গিকারও শেখ হাসিনার; প্রতিনিয়ত।
আরও পড়ুন