হাজার বছরের ঐতিহ্য জামদানি অহংকার থাকলেও নেই এই শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতা
প্রকাশিত : ১০:৩৪, ২৯ আগস্ট ২০১৬ | আপডেট: ১০:৩৪, ২৯ আগস্ট ২০১৬
হাজার বছরের ঐতিহ্য জামদানি। অহংকার থাকলেও নেই এই শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতা। আপন মমতায় সুনিপুনভাবে দৃষ্টিনন্দন জামদানি তৈরি করেন যে কারিগর, তার্ওা অনেকটাই অবহেলিত। অথচ জামদানির কদর বিশ্বজোড়া। তবে এবার প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে জামদানি বুনন প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। চলবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
সুক্ষ কারুকাজ আর জমাট বুননের অনন্য নাম জামদানি। প্রাচীন কালের মিহি মসলিনের উত্তরাধিকার বলা হয় একে। তাই একদিকে যেমন আছে শিল্পের ছোঁয়া, তেমনি সঙ্গে আছে ঐতিহ্যের অহংকার।
শুরুটা কখন তা জানা না গেলেও কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে উল্লেখ আছে এই কার্পাসী বস্ত্রের। ১৪শ শতকে প্রখ্যাত পরিব্রাজক ইবনে বতুতাও প্রশংসা করেছেন জামদানির। তবে জামদানির সমঝদার বলা হয় মুঘল শাসকদের। তাই ঐতিহ্যের পাশাপাশি আভিজাত্যেরও প্রতীক এই কাপড়।
জাতীয় জাদুঘরে চলছে ২৬ দিনব্যাপী জামদানি বুনন প্রদর্শনী। মূল আকর্ষণ এর নকশায়। বিভিন্ন মাত্রা যোগ হলেও জ্যামিতিক অঙ্কনে নকশার আদি ছাঁট আজও বজায় রেখেছেন তাঁত-শিল্পীরা।
জামদানির বুননে বুননে লুকিয়ে আছে এক একটা গল্প। যে গল্প আবহমান বাঙলীরই জীবন-গাঁথা।
বাংলার সীমানে পেরিয়ে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে জামদানির স্বীকৃতি এখন সময়ের দাবি।
আরও পড়ুন