হাজীদের গরমে স্বস্তি দিতে এয়ারকন্ডিশন "মক্কা ছাতা"
প্রকাশিত : ২৩:১২, ২৫ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ১৮:৫৬, ২৬ আগস্ট ২০১৭
মুসলমানদের বিশ্বের সর্ববৃহৎ তীর্থস্থান মক্কা শরীফ। প্রতিবছর লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজ পালন করতে সৌদি আরবের মক্কায় আসেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সৌদি আরবে হজ করতে আসা হজযাত্রীরা সৌদি আবরের আবহাওয়ার সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে যারা ভয় পান তাদের জন্য সুসংবাদ রয়েছে।
প্রযুক্তি নির্ভর দুনিয়ায় স্মার্ট মোবাইল, স্মার্ট টেলিভিশন, স্মার্ট গাড়ি, বাড়ি, ফ্রিজসহ আরো কত কি! এখন স্মার্ট এবং এয়ারকন্ডিশন ছাতার সময়।
নতুন নতুন উদ্ভাবন যেমন চমকে দেয় দুনিয়াকে তেমন মানব কল্যাণে অবদান রেখে জীবনকে করছে সহজতর।
এবার সৌদি আরবের পবিত্র মক্কার এক উদ্ভাবক মোহাম্মদ বিন হামেদ আস-সায়েগ নিয়ে এলেন স্মার্ট এয়ারকন্ডিশন "মক্কা ছাতা"। এ ছাতাটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নিঃসরণ করতে পারে। এটির ওজন মাত্র ৬৬০ গ্রাম। যা খুব সহজেই বহন করা যায়।
ছাতাটি বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত শুরু হয়েছে। ছাতাটির বিশেষত্ব হলো উপরে সেটিং করা একটি ফ্যান নিচের হাতলে রক্ষিত পানি টেনে উপরে তুলে শিশিরের মতো বর্ষণ করে থাকে। এতে করে শিশির ভেজা সুশীতল বাতাসে প্রচণ্ড গরম থেকে স্বস্তি পাওয়া যায়। প্রচণ্ড গরম লাগবে এই ছাতা হাজীদের স্বস্তি দিবে বলে উদ্ভাবকের বিশ্বাস।
এর আগে গত বছর প্রখর রোধ থেকে ছায়া, ফ্যানের বাতাস, জিপিএস এবং সৌর চার্জিং সুবিধাসহ তৈরি করা হয়েছিল এই র্স্মাট ছাতা। আসন্ন হজের সময় হাজীদের কষ্ট কমাতে সৌদির এক বিজ্ঞানী নিয়ে এসেছেন এই "কাফিয়া" র্স্মাট ছাতা।
জেদ্দায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সময় ছাতার আবিষ্কারক মোহাম্মদ হামিদ সাঈদ বলেন, সৌদি আরবের উচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করার কারণে ইউরোপ, এশিয়ায় এবং অন্যান্য দেশের তীর্থযাত্রীদের কথা চিন্তা করেই এই ধরনের ছাতা আবিষ্কারের চেষ্টা করি। ওইসব দেশের অধিকাংশই হাজীই হজযাত্রার সময় এ ছাতা পছন্দ করছে।’
তিনি আরও বলেন, "মাক্কার ছাতা পাম্পের মাধ্যমে পানি ছড়িয়ে দিয়ে দীর্ঘ সময় কাজ করতে সক্ষম। এটি এ বছর হজযাত্রীদের তাপমাত্রার মধ্যে অভূতপূর্ব আরামদায়ক হবে এবং সময়ের সাক্ষী হবে। "
সৌদি আরবের কিং আব্দুল আজিজ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাতাটি আবিষ্কারের জন্য ইতিমধ্যেই তাকে সার্টিফিকেট প্রদান করছে। ছাতাটির পরিবেশক রাইড মাতা "মক্কা ছাতাটি" এই বছর চীনে তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন