ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

হাতে লেখার দিন কি শেষ হয়ে যাচ্ছে?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৩৩, ১২ নভেম্বর ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

কম্পিউটার, মোবাইল ফোন এবং কিবোর্ডের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। লেখার ক্ষেত্রে অনেকেই এই ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসগুলো ব্যবহার করে থাকেন। তাই অনেকেই হয়তো শেষ কবে হাতে লিখেছেন তা বলতে পারবেন না।

ব্রিটেনে `ডকমেইল` নামে একটি প্রতিষ্ঠান ২০১২ সালে এক জরিপ চালায় ২,০০০ লোকের উপর। এতে উত্তরদাতাদের প্রশ্ন করা হয়েছিল তারা শেষ কবে হাতে কিছু লিখেছেন।

তারা জবাব দেন, তারা হাতে কিছু লিখেছেন গড়ে ৪১ দিন আগে। তাদের দু-তৃতীয়াংশই বলেন, তারা যা লিখেছেন তা বাজারের ফর্দ বা এ জাতীয় সংক্ষিপ্ত নোট।

ফলে প্রশ্ন উঠছে, হাতে লেখার ক্ষমতা কি এখন অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ছে? বাচ্চাদের কি আর হাতে লেখা শেখানোর দরকার আছে? বাচ্চাদের কি এখন বরং টাইপ করা শেখানো উচিত?

অনেকের কাছে এটা অকল্পনীয় ব্যাপার মনে হতে পারে। কিন্তু কিছু কিছু দেশ হাতের লেখা শেখানোটাকে স্কুলের কারিকুলাম থেকে বাদ দিয়ে ঐচ্ছিক বিষয়ে পরিণত করেছে।

ফিনল্যান্ডে হাতের লেখা শেখানোর ক্লাস পর্যায়ক্রমে বাদ দেয়া হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় রাজ্য এক আইন পাশ করেছে যাতে বলা হচ্ছে, স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের আর `কার্সিভ` কায়দায় ইংরেজি লিখতে হবে না।

ইংরেজি অক্ষরগুলো একটির সাথে আরেকটির রেখা সংযুক্ত করে লেখার রীতিকে বলা হয় `কার্সিভ` লেখা। আমেরিকায় স্কুলগুলোতে আগে এই রীতিতে লেথার উপর জোর দেয়া হতো - এখন তা বাদ দেয়া হয়েছে।

হাতে লেখা এবং টাইপিং এর মধ্যে কোনটি শিশুদের জন্য ভালো- এর উপর এক জরিপ চালানো হয়েছিল ২০০৫ সালে। এতে দেখা গেছে যে হাতে লেখা শেখার ফলে শিশুরা অপেক্ষাকৃত ভালোভাবে অক্ষর চিনতে পারে।

গবেষকরা বলেন, এটা সম্ভব যে হাতে লেখা শিখলে তা বাচ্চাদের পড়া শেখায় সহায়ক হয় - যদিও এটা প্রমাণ হয়নি।

২০১৫ সালের একটি জরিপে দেখা গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা যদি শিক্ষকদের কথা হাতে লিখে টুকে নেয় - তাহলে তারা তা কিবোর্ডে নোট নেয়া ছাত্রদের চেয়ে বেশি মনে রাখতে পারে।

তবে কম্পিউটারে নোট নেয়া দ্রুততর এবং শিক্ষক যা বলেছেন তার কাছাকাছি হয়।

তবে এ যুগে শিশুদের হাতে লেখা শেখানো বাদ দেয়ার সময় হয়েছে কিনা তা নিয়ে এখনো শিক্ষাবিদদের মধ্যে কোনো আন্তর্জাতিক ঐকমত্য হয়নি।

সূত্র: বিবিসি

এম/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি