হাবিপ্রবি’র রেজিস্ট্রার হলেন অধ্যাপক ডা.ফজলুল হক
প্রকাশিত : ১৮:৩২, ৩০ মার্চ ২০১৯
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরেনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্স অনুষদের মেডিসিন সার্জারী এন্ড অবস্ট্রেটিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. মো. ফজলুল হক ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম এর অনুমোদনক্রমে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ ২০১৯) সদ্য বিদায়ী রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. সফিউল আলম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়। এই আদেশের মাধ্যমে প্রফেসর ড. মো. সফিউল আলম এর স্থলাভিষিক্ত হবেন প্রফেসর ডা. মো. ফজলুল হক।
অফিস আদেশে বলা হয়, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (চুক্তি-ভিত্তিক) পদে নিযুক্ত প্রফেসর ড. মো. সফিউল আলমকে (২৮ মার্চ) অপরাহ্ন হতে সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো এবং সেই সঙ্গে মেডিসিন সার্জারী এন্ড অবস্ট্রেটিক্স বিভাগের প্রফেসর ডা. মো. ফজলুল হককে তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি-বিধান, সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব থাকা অবস্থায় প্রাপ্য সুযোগ্য-সুবিধা মেনে চলার প্রেক্ষিতে ২৯ মার্চ হতে রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে নিযুক্ত করা হলো।
প্রফেসর ডা. মো. ফজলুল হক ১৯৫৭ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি বর্তমান ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার মোলামের টেক গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে সদরপুর, ফরিদপুর আমিরাবাদ পাইলট ইনস্টিটিউটশন থেকে এস এস সি এবং ১৯৭৫ সালে ফরিদপুর ইয়াসিন কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে ডি.ভি.এম (ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন) নিয়ে অনার্স এবং ১৯৮০ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগ থেকে এম.এস.সি. পাশ করেন। এরপর জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯৬-১৯৯৭ পর্যন্ত পিজিটি করেন। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার সহ-সভাপতি এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকরী সদস্য ছিলেন।
কর্মজীবনের শুরুতেই তিনি ১৯৮৩ হতে ২০০৮ সালের ১১ মার্চ পর্যন্ত বিসিএস লাইভস্টক সার্ভিসে কর্মরত ছিলেন। এরপর ২০০৮ সালে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিসিন সার্জারী এন্ড অবস্ট্রেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৯ সালে এসে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১২ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি প্রাপ্ত হোন।
এছাড়াও তার গবেষণা ধর্মী আর্টিকেলঃ ২১টি, “ইতিহাস কথা বলে পূর্বাপর ‘৭১” নামক একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ দৈনিক জাতীয় কালের কন্ঠ ,যুগান্তর,ইত্তেফাক সহ বিভিন্ন পত্রিকায় উপ সম্পাদকীয় পাতায় প্রায় ১০০টির বেশি বিভিন্ন সমসাময়িক ঘটনায় নিয়ে লেখাও প্রকাশিত হয়েছে।তিনি মাদার তেরেসা ,এম এ জি ওসমানী ,হাজী মোহাম্মদ মহসিন ও আর্মস পুরুস্কার সহ বিভিন্ন সম্মাননা পদকেও ভূষিত হয়েছেন । এছাড়া তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
কেআই/
আরও পড়ুন