হালকা সিগারেটেও ক্ষতি কমে না!
প্রকাশিত : ১৭:০৪, ১৬ জুন ২০১৭ | আপডেট: ১৪:০৭, ১৭ জুন ২০১৭
ক্ষতি কমাতে অনেকে হালকা ঝাঁজের সিগারেট পান করেন। যেমন‘লাইট’, ‘রেগুলার’ ‘অ্যাডভান্সড’ ইত্যাদি। তবে হতাশার কথা হচ্ছে যত রকমের সিগারেটই পান করুন না কেন, স্বাস্থ্যের ক্ষতি কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। বরং হতে পারে ফুসফুসে ক্যান্সার।
যেসব ধূমপায়ী নিকোটিন ও ‘টার’ বা সিগারেটের অন্যান্য বর্জ্য গ্রহণের মাত্রা কমানোর উদ্দেশ্যে ‘লাইট’ সিগারেট পান করেন, তাদের উচিত বিষয়টা নিয়ে আরেকবার ভাবা। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, বিশেষ এই সিগারেট হতে পারে বিশেষ ধরনের ফুসফুস ক্যান্সারের কারণ।
‘লাইট’, ‘মাইল্ডস’, ‘লো-টার’, ‘হাই ভেন্টিলেশন সিগারেট’ ইত্যাদি বিভিন্ন নামে পরিচিত বিশেষ এই সিগারেটগুলোতে গলায় ধাক্কাটা একটু কম অনুভূত হয়। অনেকেই মনে করেন এগুলোতে টার বা সিগারেট বর্জ্য, নিকোটিন ও সিগারেটে থাকা অন্যান্য রাসায়নিক উপাদানের মাত্রা কম থাকে। সিগারেট বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো এদেরকে তুলে ধরে তুলনামূলক ‘স্বাস্থ্যকর’ বিকল্প হিসেবে।
তবে ঘটনাটা পুরোই বিপরীত। সবচাইতে প্রচলিত ফুসফুস ক্যান্সার ‘লাঙ অ্যাডেনোকারসিনোমা’র পেছনে সম্ভবত এই সিগারেটগুলোর অবদানই সবচাইতে বেশি।
‘জার্নাল অফ দ্য ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট’য়ে প্রকাশিত এই গবেষণায় ফলাফলে জানা যায়, ‘লাঙ অ্যাডেনোকারসিনোমা’ হওয়ার জন্য দায়ী সিগারেটের ফিল্টারে থাকা বাতাস প্রবাহের ছিদ্রগুলো। এই ছিদ্রগুলো ধূমপায়ীকে বেশি ধোঁয়া গ্রহণ করার সুযোগ করে দেয়, ফলে ‘কারসিনোজেন’, ‘মিউটাজেন’ ও অন্যান্য বিষাক্ত উপাদান ফুসফুসে প্রবেশ করে আরও বেশি পরিমাণে।
ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির পিটার শিল্ডস বলেন, “ফিল্টারের এই ছিদ্রগুলো তামাক পোড়ার পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনে। এতে সিগারেটের ধোঁয়া ফুসফুসের আরও বেশি গভীরে পৌঁছায় যেখানে ‘অ্যাডেনোকারসিনোমাস’ বেশিরভাগ সময় হয়ে থাকে।”
“প্রায় ৫০ বছর আগে সিগারেটের ফিল্টারে এই ছিদ্রগুলো প্রথম দেওয়া শুরু হয়েছিল এবং দাবি করা হয়েছিল যে এগুলো ‘নিরাপদ’। যা আসলে ধূমপায়ী ও জনস্বাস্থ্য কমিউনিটিকে বোকা বানানোর জন্য প্রচার করা হয়।” বলেন শিল্ডস।
তিনি আরও জানান, “সিগারেটের ফিল্টারে এই ছিদ্রগুলোর সঙ্গে বিগত ২০ বছরে ‘লাং অ্যাডেনোকারসিনোমা’ বাড়ন্ত ঝুঁকির পরিষ্কার সম্পর্ক রয়েছে, আমাদের গবেষণা এমনটাই ইঙ্গিত করে। তবে আতঙ্কের বিষয় হল এই ছিদ্রগুলো আজও সকল সিগারেটের ফিল্টারে থাকে।”