ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

হিট স্ট্রোকের সময় পানি পান ডেকে আনতে পারে বিপদ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫১, ২৮ এপ্রিল ২০২২

Ekushey Television Ltd.

তীব্র গরমের মধ্যে মাথার ওপর কড়া রোদ নিয়ে কাজ করতে হয় অনেককে। চিকিৎসকরা বলছেন, এই পরিস্থিতির মধ্যেই ঘটে যেতে পারে প্রাণঘাতী সমস্যা হিট স্ট্রোক।

অনেক সময়েই দেখা যায়, পথেই অসুস্থ বোধ করায় কেউ বসে পড়ে অজ্ঞান হয়ে গেলেন। কেউ আবার পুরোপুরি জ্ঞান না হারালেও শরীর অসম্ভব দুর্বল মনে হওয়ায় উঠে দাঁড়ানোর শক্তি পান না। শরীরে অসম্ভব অস্থিরতা শুরু হয়, কারও শুরু হয় বমি, খিঁচুনি। 

চিকিৎসকরা বলছেন, সঠিক চিকিৎসা না পেলে ২৫-৩০ শতাংশ ক্ষেত্রে হিট স্ট্রোকে মৃত্যু এড়ানো যায় না। 

কিন্তু প্রাথমিক যে চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দিলে কাউকে বাঁচানো সম্ভব, সেটা জানা প্রয়োজন। কারণ কিছু ক্ষেত্রে ভুল পদক্ষেপ বড় বিপদ ডেকে আনে। যেমন হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে অনেক সময়েই অসুস্থ ব্যক্তিকে পানি খাওয়ানো হয় বা চেষ্টা করা হয়।

চিকিৎসকরা বলছেন, এটি ভুল পদ্ধতি। কারণ রোগীর তখন ভালোভাবে জ্ঞান থাকে না, ফলে শ্বাসনালিতে পানি ঢুকে দম বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

ভারতের চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার জানান, মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাসে যে থার্মোস্ট্যাট রয়েছে, তার মাধ্যমেই দেহের তাপ নিয়ন্ত্রিত হয়। দেহতাপ স্বাভাবিকভাবে ৩৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকে। গরম এবং ঠাণ্ডায় শরীরের তাপমাত্রা কতটা কমবে বা বাড়বে, তা নিয়ন্ত্রণ করে হাইপোথ্যালামাস। 

হিট স্ট্রোকে বাইরের অত্যধিক তাপমাত্রার কারণে প্রথমেই বিকল হয় হাইপোথ্যালামাস। তাতে দেহতাপ ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হয়ে ঘাম নিঃসরণও বন্ধ হয়ে যায়। ঘাম নিঃসরণ বন্ধ হয়ে দেহতাপ হু-হু করে বাড়তে থাকে। তাই আক্রান্তকে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই কয়েকটি প্রাথমিক শুশ্রূষা দেওয়া প্রয়োজন বলে জানান আরেক চিকিৎসক অনির্বাণ দলুই।

“হিট স্ট্রোকের লক্ষণগুলো ভালো করে বুঝতে হবে। আক্রান্তের শরীর প্রচণ্ড তেতে থাকলেও কোনও ঘাম থাকবে না। অনেকে অজ্ঞান নাও হতে পারেন। শরীরে অস্থিরতা, খিঁচুনি হতে পারে। সব ক্ষেত্রেই ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শরীরের বাইরের অংশকে দ্রুত শীতল করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।’’

মেডিসিনের চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, আরও একটি সমস্যা হল হিট এগ্‌জ়শন’। 

এ বিষয়ে অরিন্দম বলেন, এর প্রধান লক্ষণ হল তীব্র ঘাম। সেই সঙ্গে মাথা ঘুরতে থাকা, গা-বমি ভাব, চোখে ঝাপসা দেখা, অসম্ভব ক্লান্তি। সেক্ষেত্রে ঠাণ্ডা জায়গায় বসলে, কুঁচকিতে বরফ দিলে সব থেকে ভালো। 
সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন 
আরএমএ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি