ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

হৃদরোগের ডিভাইসের মূল্য বেঁধে দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:২০, ২৯ এপ্রিল ২০১৭ | আপডেট: ১৫:২৯, ২১ মে ২০১৭

হৃদরোগের ডিভাইস ও করোনারী স্টেন্ট এর লাগামহীন মূল্য নিয়ন্ত্রণে ১৫টি আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানকে মূল্য বেঁধে দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। মোড়কে উল্লেখিত মূল্যের বেশি আদায় করা হলে ওই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করারও নির্দেশনা রয়েছে। এদিকে, আকস্মিকভাবে হৃদযন্ত্রের রিং সরবরাহ বন্ধ ও চড়া মূল্য নেয়ার কথা স্বীকার করে আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মূল্য নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কারণেই সাময়িক ভোগান্তি হচ্ছে।
প্রতিবছর প্রায় ১৮ হাজার করোনারী স্টেন্ট বা হৃদরোগের প্রয়োজনীয় ডিভাইস রিং এর প্রয়োজন হয়। দেশের ২১ টি প্রতিষ্ঠান বিশ্বের ৭ টি দেশ থেকে আমদানীকৃত ৪৭ ধরনের ডিভাইস সরবরাহ করে হাসপাতালগুলোতে।
সম্প্রতি হৃদরোগের প্রয়োজনীয় রিং এর মূল্য নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা বিতর্ক। বাজারে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এক লাখ থেকে ২ কিংবা আড়াই লাখ টাকারও বেশি মূল্য নেয়া হয়েছে এসব ডিভাইসের। এবার বাজারের লাগাম টানতে আমদানীকৃত এসব ডিভাইসের মূল্য নির্ধারন করে দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
মোড়কের গায়ে মূল্য মূদ্রণ করে দেওয়ার নির্দেশনা আছে কর্তৃপক্ষের। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ ও আমদানীকারকদের মধ্যে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝির ব্যাখ্যা দিয়েছে মেডিকেল ডিভাইস ইমপোর্টার এসোসিয়েশন।
নির্ধারণ করে দেওয়া মূল্য তালিকা অনুযায়ি খরচের বাইরে মোটা অংকের লাভের অংশ গুছিয়ে নিতে পারবেন আমদানীকারকরা।
ভারত ও বাংলাদেশে রিং এর মূল্যের তুলণামূলক বিতর্ক নিয়ে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, ভারত ওই ডিভাইস উৎপাদন করে আর উন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ আমদানী করে বলে মূল্যের এই পার্থক্য।

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি