হোয়াটসঅ্যাপ-টেলিগ্রাম কী সুরক্ষিত?
প্রকাশিত : ১৫:১৯, ২১ এপ্রিল ২০২২
বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির যুগে এসএমএস-এর থেকে সবথেকে বেশি ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ। তার মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। পৃথিবী জুড়ে এই অ্যাপ বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে। তবে এর পাশাপাশি বর্তমানে অনেকেই ব্যবহার করেন টেলিগ্রাম। জনপ্রিয়তায় হোয়াটসঅ্যাপ-এর মত না হলেও কাছাকাছিই রয়েছে টেলিগ্রাম। বিভিন্ন কারণে এই দুটি মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করেন অনেকে।
হোয়াটসঅ্যাপ-এ বিশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হচ্ছে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন। যার কারণেই সুরক্ষিত ও গোপনীয়তা রক্ষা হয় আপনার সঙ্গে প্রিয়জনের কথোপকথন।
কিন্তু প্রশ্ন রয়েছে টেলিগ্রাম নিয়ে। সেখানেও কী চ্যাট সুরক্ষিত থাকে? এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন না থাকার ফলে টেলিগ্রাম-এর চ্যাট কি আদৌ সুরক্ষিত?
কিছুটা হলেও টেলিগ্রাম নিয়ে প্রত্যেকের ভাবা দরকার। সিক্রেট চ্যাট ছাড়া টেলিগ্রাম-এর চ্যাট কিন্তু এন্ড টু এন্ড ইনক্রিপশন নয়।
অর্থাৎ, আপনার সঙ্গে প্রিয়জনের যা কথোপকথন হচ্ছে তা চাইলে অনায়াসে দেখা সম্ভব এবং টেলিগ্রাম কর্তৃপক্ষ অথবা হ্যাকাররা সেই চ্যাট পড়তে পারবে। তবে যদি কোনও চ্যাট সিক্রেট চ্যাট হিসেবে সেট করা হয় তাহলে তা দেখা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে হোয়াটসঅ্যাপ-এ রয়েছে ডিফাল্ট এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন। ফলে গ্রুপ চ্যাট এবং ব্যক্তিগত কোনও চ্যাটের ক্ষেত্রে চ্যাটের কথপোকথন পড়া সম্ভব নয়।
যেহেতু মেটা-র অধীনেই রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুক তাই ওই দুটি সংস্থাও নিজেদের মধ্যে ডেটা ট্রান্সফার যে করে না এমন নিশ্চয়তা নেই।
আবার এই বিষয়ে বিভিন্ন সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞদের মত, ক্লাউড স্টোরেজে হোয়াটসঅ্যাপের ব্যাকআপ নেওয়া হয়। যদি কোনও হ্যাকার জিমেইলের অ্যাকসেস নিতে পারে তাহলে হোয়াটসঅ্যাপ-এর মেসেজের অ্যাকসেসও পাওয়া সম্ভব।
তাই বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, হোয়াটসঅ্যাপ হোক বা টেলিগ্রাম, যে কোনও মাধ্যমেই তথ্য চুরি হতে পারে। তাই সেকারণে এই ধরনের মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করার আগে অবশ্যই সচেতন থাকা উচিত।
সূত্রঃ এই সময়
আরএমএ/এমএম
বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির যুগে এসএমএস-এর থেকে সবথেকে বেশি ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ। তার মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। পৃথিবী জুড়ে এই অ্যাপ বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে। তবে এর পাশাপাশি বর্তমানে অনেকেই ব্যবহার করেন টেলিগ্রাম। জনপ্রিয়তায় হোয়াটসঅ্যাপ-এর মত না হলেও কাছাকাছিই রয়েছে টেলিগ্রাম। বিভিন্ন কারণে এই দুটি মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করেন অনেকে।
হোয়াটসঅ্যাপ-এ বিশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হচ্ছে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন। যার কারণেই সুরক্ষিত ও গোপনীয়তা রক্ষা হয় আপনার সঙ্গে প্রিয়জনের কথোপকথন।
কিন্তু প্রশ্ন রয়েছে টেলিগ্রাম নিয়ে। সেখানেও কী চ্যাট সুরক্ষিত থাকে? এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন না থাকার ফলে টেলিগ্রাম-এর চ্যাট কি আদৌ সুরক্ষিত?
কিছুটা হলেও টেলিগ্রাম নিয়ে প্রত্যেকের ভাবা দরকার। সিক্রেট চ্যাট ছাড়া টেলিগ্রাম-এর চ্যাট কিন্তু এন্ড টু এন্ড ইনক্রিপশন নয়।
অর্থাৎ, আপনার সঙ্গে প্রিয়জনের যা কথোপকথন হচ্ছে তা চাইলে অনায়াসে দেখা সম্ভব এবং টেলিগ্রাম কর্তৃপক্ষ অথবা হ্যাকাররা সেই চ্যাট পড়তে পারবে। তবে যদি কোনও চ্যাট সিক্রেট চ্যাট হিসেবে সেট করা হয় তাহলে তা দেখা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে হোয়াটসঅ্যাপ-এ রয়েছে ডিফাল্ট এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন। ফলে গ্রুপ চ্যাট এবং ব্যক্তিগত কোনও চ্যাটের ক্ষেত্রে চ্যাটের কথপোকথন পড়া সম্ভব নয়।
যেহেতু মেটা-র অধীনেই রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুক তাই ওই দুটি সংস্থাও নিজেদের মধ্যে ডেটা ট্রান্সফার যে করে না এমন নিশ্চয়তা নেই।
আবার এই বিষয়ে বিভিন্ন সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞদের মত, ক্লাউড স্টোরেজে হোয়াটসঅ্যাপের ব্যাকআপ নেওয়া হয়। যদি কোনও হ্যাকার জিমেইলের অ্যাকসেস নিতে পারে তাহলে হোয়াটসঅ্যাপ-এর মেসেজের অ্যাকসেসও পাওয়া সম্ভব।
তাই বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, হোয়াটসঅ্যাপ হোক বা টেলিগ্রাম, যে কোনও মাধ্যমেই তথ্য চুরি হতে পারে। তাই সেকারণে এই ধরনের মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করার আগে অবশ্যই সচেতন থাকা উচিত।
সূত্রঃ এই সময়
আরএমএ/এমএম
আরও পড়ুন