ফেসবুকে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক
হ্যালো, ভাই, লবিং নির্ভর রাজনীতি ভুলে যান
প্রকাশিত : ০০:০০, ২৭ আগস্ট ২০১৮
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী বলেছেন, পদ পেয়ে নেতা বনে যাওয়ার সুযোগ ছাত্রলীগে নেই। আজ রোববার নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান। রব্বানী তার এই পোস্টের শিরোনামে লিখেছেন ‘তোমরা যারা শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ করতে চাও’।
তিনি জানান, কর্মীকে মানবিক ও সাংগঠনিক গুণের মাধ্যমে তৃণমূলের কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মন জয় করে তাদের মনে `নেতা` হিসেবে আসন গড়তে পারলেই শীর্ষ পদের জন্য বিবেচ্য হবেন।
গোলাম রাব্বানী জানান, ছাত্রলীগে মূল্যায়নের মূল নির্ণায়ক হবে এই সংগঠন ও এর আদর্শের প্রতি কর্মীদের আন্তরিকতা (ডেডিকেশন) আর দায়বদ্ধতা (কমিটমেন্ট)।
তিনি লেখেন, কর্মীর এবং কর্মীর পারিবারিক রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডে আদর্শিক ত্রুটি বড় অযোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।
সাধারণ সম্পাদক লেখেন, নতুন ইতিহাস গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে, ইতিবাচকতার নব বার্তা নিয়ে আসা শেখ হাসিনার ছাত্রলীগের একজন গর্বিত অংশীদার হতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রীর জনবান্ধব উন্নয়ন-রাজনীতির দর্শনে আস্থা রাখা ও শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হয়ে নিরলস শ্রম দিতে হবে।
সংগঠনে মূল্যায়ন পেতে হ্যালো, ভাই, লবিং আর `গিভ অ্যান্ড টেক` নির্ভর রাজনীতি স্রেফ ভুলে যেতে হবে। মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন হতে হবে। স্বেচ্ছায় রক্তদান, পীড়িতের সেবা, আর্তমানবতার পাশে দাঁড়ানোসহ যেকোনো জনহিতকর কাজে ছাত্রলীগ থাকবে সবার আগে।
একদিকে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির সব ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে, প্রতিবাদী মশাল হাতে রাজপথে, আবার সময়ের প্রয়োজনে সৃজনশীলতার কলমে বা কি–বোর্ডে মেধার স্বাক্ষর রাখতে হবে ছাত্রলীগকে।
রব্বানী লিখেছেন, সিটিজেন জার্নালিজম আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই যুগে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির যথাযথ জ্ঞান থাকতে হবে। অনলাইনে অপশক্তির নেতিবাচক কর্মকাণ্ড ও গুজব-সন্ত্রাসের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে।
সংগঠনের প্রতি আবেগ এবং অর্পিত দায়িত্ব-কর্তব্যের প্রতি নিষ্ঠাবান থাকতে হবে। পদ-পজিশন, ক্ষমতা যদি ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের মানসিকতা থাকে, তাহলে সেই কর্মী ছাত্রলীগে বেমানান।
হাসিমুখে ভালোবাসা দিয়ে ইতিবাচক কাজের মাধ্যমে মানুষের মন জয় করে তাদের অন্তরে শ্রদ্ধা-ভালোবাসার স্থান করে নিতে হবে। ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তুলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ‘নৌকা’র পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে ছাত্রলীগকে ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি লেখেন, বাঙালি জাতির পিতা, কালের অবিসংবাদিত মহানায়ক বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন নিয়ে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার সুযোগ্য উত্তরসূরি দেশরত্ন শেখ হাসিনা সেই স্বপ্নকে পূর্ণতা দিতে ছাত্রলীগের ওপরই আস্থা রেখেছেন। আমার-আপনার, আমাদের ছাত্রলীগের লাখো আদর্শিক কর্মী নিজ নিজ অবস্থান থেকে যদি দেশরত্ন শেখ হাসিনার চলার পথকে মসৃণ রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই- তবে আমাদের বাংলাদেশ এগিয়ে যাবেই।
উন্নয়নের মার্কা নৌকার পক্ষে নিরলস কাজ করতে আপনি যদি আগ্রহী হন, তাহলে ‘শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ’ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে আপনাকে স্বাগত জানাতে। আপনার যোগ্যতা, আপনার শ্রম আর ত্যাগের যথাযথ মূল্যায়ন করতে অধীর চিত্তে অপেক্ষা করছে ৭০ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই ছাত্রসংগঠনটি।
এমএইচ/এসি
আরও পড়ুন