ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

১১ ডিসেম্বর : টাঙ্গাইল মুক্ত দিবস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫৫, ১১ ডিসেম্বর ২০২১

টাঙ্গাইল মুক্ত দিবস ১১ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এইদিনে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর দখলমুক্ত হয় টাঙ্গাইল জেলা। 

১৯৭১ সালের মার্চ মাসের শুরুতে জেলায় ‘টাঙ্গাইল জেলা স্বাধীন বাংলা গণমুক্তি পরিষদ’ গঠন করা হয়। চলতে থাকে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ। ২৬ মার্চ থেকে গ্রামে-গ্রামে যুবকরা সংগঠিত হয়। ৩ এপ্রিল মির্জাপুরের গোড়ান-সাটিয়াচড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবরোধ ভেঙে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী টাঙ্গাইল শহরে প্রবেশ করে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদ স্থানে চলে যান। 

অল্পদিনের মধ্যেই কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে গড়ে ওঠে বিশাল ‘কাদেরিয়া বাহিনী’। শুরু হয় বিভিন্নস্থানে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ। খন্দকার আবদুল বাতেনের নেতৃত্বে গঠিত ‘বাতেন বাহিনী’ও অনেক জায়গায় হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। 

১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর বিকেলে টাঙ্গাইল শহরের অদূরে পৌলিতে মিত্রবাহিনীর প্রায় দুইহাজার ছত্রীসেনা অবতরণ করায় হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর মনোবল একেবারেই ভেঙে পড়ে। চারদিক থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে পাকিস্তানী বাহিনী। তারা ছুটতে থাকে ঢাকার দিকে।

১১ ডিসেম্বর ভোর থেকে বিজয়ী বীর মুক্তিযোদ্ধারা শহরে প্রবেশ করতে থাকেন। টাঙ্গাইল শহর শক্রুমুক্ত হয়। মানুষ নেমে আসে রাস্তায়। ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে টাঙ্গাইল শহর।

টাঙ্গাইল মুক্তদিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইল পৌরসভার উদ্যোগে ৫ দিন ব্যাপী কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। শনিবার সকালে শোভাযাত্রা উদ্বোধন করবেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক। 

শনিবার বিকেলে আলোচনাসভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক এমপি। 

এছাড়াও টাঙ্গাইল মুক্তদিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। 
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি