১৪ কোটি টাকার বাইক
প্রকাশিত : ১৩:০৬, ২০ মে ২০১৮
বিশ্বের সবচেয়ে দামী বাইক বাজারে আনল হার্লে-ডেভিডসন। বিশ্ব বাজারে যার দাম ১.৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার দাম সাড়ে ১৪ কোটি টাকা। হার্লে-ডেভিডসনের ব্লু-এডিশন ভার্সন এ বাইকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সফটটেল স্লিম এস’। বাইকটি সাজানো হয়েছে স্বর্ণ-হিরাসহ নানা দামী অলংকারে।
সম্প্রতি জুরিখে এক অনুষ্ঠানে ব্লু-এডিশন এ বাইকটিকে প্রকাশ্যে আনল সংস্থাটি। এত দিন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাইক হওয়ার রেকর্ড ছিল ভিনসেন্ট ব্ল্যাক লাইটনিংয়ের দখলে। এ বছরের গোড়ায় নিলামে বাইকটির দাম ওঠে ৯ লাখ ২৯ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা। নিলামে ওঠা দরের কারণেই এ বাইকটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাইকের তকমা পেয়েছিল।
সুইজারল্যান্ডের বিখ্যাত গয়না ও ঘড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘বুশারার’ এবং বাইক প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘বান্ডানারবাইক’র যৌথ উদ্যোগে বাইকটি তৈরি করা হয়েছে। দুই সংস্থার আট বিশেষজ্ঞ ১ বছর ধরে ২ হাজার ৫০০ ঘণ্টা নানা গবেষণা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বাইকটির নকশা তৈরি করেছেন। বাইকটি সাজাতে ৩৬০টি হীরা ব্যবহার করা হয়েছে।
বাইকে যে স্ক্রু ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো সবই সোনার। ছয়টি স্তরে রঙের কোটিং দেওয়া হয়েছে বাইকটিতে। কিন্তু সেই কোটিং টেকনিকটা কী, সেটা প্রকাশ্যে আনতে চায়নি প্রস্তুতকারক সংস্থা। এত দিন পর্যন্ত হার্লে-ডেভিডসনের যত মডেল বেরিয়েছে কোনোটিতেই ঘড়ি ছিল না। কিন্তু ব্লু-এডিশনের অন্যতম একটি বিশেষত্ব হচ্ছে, এর ফুয়েল ট্যাঙ্কের ডান পাশে একটি ঘড়ি লাগানো হয়েছে।
ফুয়েল ট্যাঙ্কের পাশে ৫.৪ ক্যারেটের ডায়মন্ড রিং লাগানো রয়েছে। ফুয়েল ট্যাঙ্কের একপাশে ঘড়ি ও অন্যপাশে হীরেখচিত রিং। তার থেকে ঠিকরে বেরিয়ে আসা আলো বাইকটির শোভা বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। বাইকের ইঞ্জিনের কম্পন থেকে ঘড়িটিকে বাঁচাতে ট্যাঙ্কের ওপর একটি বিশেষ খাঁচা তৈরি করা হয়েছে। ঘড়িটিকে ধরে রাখার জন্য সিলিকন রিং দিয়ে বিশেষ হোল্ডার তৈরি করা হয়েছে। বাইকটি অনেক দিন না চালালেও ঘড়িটি বন্ধ হবে না, কেননা ওই হোল্ডারটি ঘড়িটিকে সচল রাখবে।
সূত্র : আনন্দবাজার।
/ এআর /