ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

১৫৩ কেজির মচমচে সমুচা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১৫, ২৪ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ১১:২২, ২৫ আগস্ট ২০১৭

মচমচে সমুচা-শিঙাড়ার কথা মনে পড়লে অনেকেরই খাওয়ার লোভ পেয়ে বসে। পৃথিবীর বহু মানুষের পছন্দের হালকা খাবারের তালিকায় রয়েছে এই দুটি নাম। গিনেস বুকে নাম লেখাতে লন্ডনের এক দল স্বেচ্ছাসেবী মঙ্গলবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুচা তৈরি করেছেন। খবর এএফপির।


যুক্তরাজ্যের মুসলিম এইড ইউকে নামের একটি দাতব্য সংস্থা বিশাল ওই সমুচাটি তৈরির উদ্যোগ নেয়। লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসের ইস্ট লন্ডন মসজিদ প্রাঙ্গণে ১৫৩ দশমিক ১ কেজি (৩৩৭ দশমিক ৫ পাউন্ড) ওজনের সমুচাটি তৈরি করা হয়। পুরো প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে উপস্থিত ছিলেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের বিচারকেরা। এ ছাড়া স্বাদ ও মান পরীক্ষা করেন খাদ্যনিরাপত্তা অধিদফতরের কর্মকর্তা। রেকর্ড গড়তে সমুচাটি তৈরির পর প্রথম তাঁর কাছ থেকেই সবুজসংকেত আসতে হবে।


অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিরা বলেন, বিশাল এক তারজালের ওপর সমুচাটি তৈরি করা হয়। এরপর চৌবাচ্চার মতো বড় একটি কড়াইয়ে সেটি ভাজা হয়। পুরো কাজ সম্পন্ন করতে প্রায় ১৫ ঘণ্টা সময় লেগেছে। কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সবুজসংকেত পাওয়ার পর সমুচাটি কয়েকশ’ টুকরো করে স্থানীয় গৃহহীন মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়।


আয়োজক ২৬ বছর বয়সী ফরিদ ইসলাম এএফপিকে বলেন, আমার বুক ধড়ফড় করছিল। সমুচায় হঠাৎ একটি ফাটল দেখা দিল। আমি তো ভাবলাম, আরও খারাপ কিছু ঘটতে চলেছে।


কাজ শুরুর আগে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের বিচারক প্রবীণ প্যাটেল নিয়মটা বলে দেন। সমুচাটি হতে হবে ত্রিকোণাকার। উপকরণ হিসেবে থাকতে হবে ময়দা, আলু, পেঁয়াজ আর ডাল। সমুচা প্রস্তুতের পর অবশ্যই তা ভাজতে হবে এবং ভাজার পর এর আকৃতির কোনো পরিবর্তন ঘটা চলবে না। সবচেয়ে বড় কথা, সমুচাটি দেখতে ও স্বাদে সমুচাই হতে হবে। তা মানুষের খাওয়ার উপযোগীও হতে হবে। ওজনের ওপরই রেকর্ডটা নথিবদ্ধ হলেও তৈরির পর পুরো সমুচাটি খেয়ে শেষ করতে হবে। কোনো অপচয় চলবে না।


বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুচা তৈরির আগের রেকর্ডটিও যুক্তরাজ্যেরই। ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে ব্র্যাডফোর্ডে অবস্থিত ব্র্যাডফোর্ড কলেজে ২০১২ সালের জুন মাসে তৈরি করা হয় সমুচাটি। সেটির ওজন ছিল ১১০ দশমিক ৮ কেজি।


দাতব্য সংস্থা মুসলিম এইড গত বছর  প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষের কাছে কোরবানির মাংস পৌঁছে দেয়। এবারের টার্গেট প্রায় ৩ লাখ। এজন্য কমিউনিটির সবার সহযোগিতা কামনা করে মুসলিম এইড। পরে সমুচাটিকে গৃহহীন মানুষদের ভাগ করে খেতে দেয়া হয়।

//এআর


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি