ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

১ যুগেও শেষ হয়নি আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার

প্রকাশিত : ১৪:১৭, ২০ আগস্ট ২০১৬ | আপডেট: ১৪:১৭, ২০ আগস্ট ২০১৬

এক যুগেও শেষ হয়নি বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক মামলার বিচার। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার সমাবেশে ভয়াবহ ওই হামলা ও হত্যাকান্ডের আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয় ২০১১ সালে, ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। এখন পর্যন্ত ৫শ’ ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ২শ’ ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। এদিকে, এই মামলার আসামি মুজাহিদের যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড হওয়ায় আসামীর সংখ্যা এখন ৫১ জন। একুশ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২২ জন নিহত হন। আহত হন সভাপতি শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মী। শুরু থেকেই ভয়াবহ ওই হামলার সঙ্গে তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। ওইসময় বিএনপি-জামাতের মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতারা বেফাঁস মন্তব্য করে আওয়ামী লীগকেই হামলার জন্য দায়ী করেন। আর তদন্তের নামে নৃশংস ওই হত্যাযজ্ঞকে ভিন্ন খাতে নেয়ারও চেষ্টা হয়। সাজানো হয় জজ মিয়া নাটক। ১৬৪ ধারায় জজ মিয়ার কাছ থেকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করে আজগুবি গল্প প্রচার করা হয়। সাজানো ছকেই দেওয়া হয় চার্জশিট। পরে ২০০৭ সালে নতুন করে তদন্ত শুরু করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এক বছর পর অভিযোগপত্র জমা দেয় সিআইডি। অভিযোগপত্র অনুযায়ী- হামলায় গ্রেনেড ও অর্থের যোগান দেয় জোট সরকারের উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর ভাই তাজউদ্দিন। তাকে পাকিস্তাান পালিয়ে যেতে সহায়তা করে তৎকালীন সরকার। পরে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর মামলার অধিকতর তদন্ত হয়। আর ২০১১ সালের ২ জুলাই আদালতে জমা দেয়া হয় হত্যা মামলার সম্পূরক চার্জশিট। আসামি করা হয় তারেক রহমান, মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদ, হারিছ চৌধুরীসহ ২২ জনকে। একুশ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় বিএনপি-জামাত সরকারের প্রভাবশালী অনেকেই জড়িত ছিলেন বলে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন তৎকালীন ডিজিএফআই ও এনএসআই এর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি