২য় দফা নির্বাচনেও জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ
প্রকাশিত : ১৩:০৪, ১ এপ্রিল ২০১৬ | আপডেট: ১৪:২৮, ১ এপ্রিল ২০১৬
দ্বিতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ। ৬৩৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫৭৮টির ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ৪০৪ টিতে বিজয়ী হয়েছেন। ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির প্রার্থী ৫৮টি; আর অন্যান্যরা বিজয়ী হয়েছেন ১১৬ ইউনিয়নে। সংঘর্ষের কারণে ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করা হয় ৩৩টি কেন্দ্রে।
ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ জেলার ৩৩টি ইউনিয়ন পরিষদের ৩২টিতেই চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। আর একটিতে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী।
ঢাকার কেরানীগঞ্জে ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের সবগুলোতে জয় পেয়েছে নৌকা প্রতীকে আওয়ামীলীগ প্রার্থীরা।
কিশোরগঞ্জে ২০টির মধ্যে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন ১২জন। ধানের শীষ প্রতীকে ৪জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন ৩টিতে। ফলাফল ঘোষনা স্থগিত রয়েছে ১টিতে।
গাজিপুরে ৭টির মধ্যে আওয়ামীলীগ প্রার্থী জয় পেয়েছেন ৬টিতে। একটিতে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী।
জামালপুরে ২৬টির মধ্যে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন ২১জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী জয় পেয়েছেন ৩টিতে। আর ফলাফল ঘোষনা স্থগিত রয়েছে ২টিতে।
টাঙ্গাইলে ১৩টির ১০টিতে জিতেছে আওয়ামীলীগ, ১টিতে বিএনপি আর ২টিতে জিতেছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী।
নেত্রকোনায় ১৫টির ১০টিতে জয় পেয়েছে নৌকা প্রতীক। ধানের শীষ জয় পেয়েছে ৩টিতে, ২টি বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী ।
নরসিংদীর ১৫টির ১৪টিতে আওয়ামীলীগ আর একটিতে জয় পেয়েছে বিএনপি।
ফরিদপুরের ৩টির মধ্যে ২টিতে আওয়ামীলীগ, ১টিতে জিতেছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী।
মাদারীপুরে ১৫টির মধ্যে নৌকা প্রতীকে জিতেছেন ৮জন, স্বতন্ত্রপ্রার্থী জয় পেয়েছেন ৬টিতে। আর ফলাফল ঘোষনা স্থগিত রাখা হয়েছে একটিতে।
মানিকগঞ্জে ২০টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামীলীগ জিতেছে ৫টিতে, বিএনপি জয় পেয়েছে ৭টিতে, আর ৮টিতেই জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী।
মুন্সিগঞ্জে ১৮টির মধ্যে নৌকা প্রতীকে জয়ী হয়েছেন ১১জন, ধানের শীষে ২জন আর স্বতন্ত্রপ্রার্থী জয় পেয়েছেন ৫টিতে।
ময়মনসিংহে ২০টির মধ্যে আওয়ামীলীগ প্রার্থী ১০টিতে, বিএনপি ১টিতে আর স্বতন্ত্র জিতেছেন ৯টিতে।
শেরপুরে ১৬টির মধ্যে নৌকা প্রতীকে জয়ী হয়েছেন ১২জন, ২জন ধানের শীষে আর স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে জিতেছেন ২জন।
খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়ায় ২০টি ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন ১৮জন। অন্যান্য দল বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন ২টিতে।
চুয়াডাঙ্গায় ৪টির ২টিতে আওয়ামীলীগ আর ২টিতে জিতেছে স্বতন্ত্রপ্রার্থী।
ঝিনাইদহে ১২টির ৭টিতে জয় পেয়েছে নৌকা প্রতীক আর স্বতন্ত্র প্রার্থী জয় পেয়েছে ৫টিতে।
যশোরের ১২টির ১০টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামীলীগ, ১টিতে বিএনপি। আর স্থগিত রয়েছে ১টির ফলাফল ঘোষনা।
মাগুরায় ১২টি মধ্যে আওয়ামীলীগ বিজয়ী হয়েছে ১১টিতে, আর ১টিতে জিতেছে স্বতন্ত্রপ্রার্থী।
মেহেরপুরের ৪টির ২টিতে আওয়ামীলীগ আর ২টিতে জয় পেয়েছে স্বতন্ত্রপ্রার্থী।
বরিশাল বিভাগের ভোলায় ১২ চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকে জয় পেয়েছেন ১১জন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী জয় পেয়েছেন ১টিতে।
পটুয়াখালী সদরে ১টিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
রংপুর বিভাগের রংপুরের ১১টি ইউনিয়নের ১০টিতে জয় পেয়েছে নৌকা প্রতীক, আর ১টিতে স্বতন্ত্রপ্রার্থী বিজয়ী হয়েছে।
কুড়িগ্রামে ১৬টির মধ্যে আওয়ামীলীগ জয় পেয়েছে ৭টিতে, বিএনপি ৩টিতে, স্বতন্ত্র ৩টিতে। আর ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে ৩টিতে।
গাইবান্দায় ১২টির মধ্যে নৌকা প্রতীকে ৫জন, ধানের শীষ প্রতীকে ২জন আর স্বতন্ত্রপ্রার্থী ৫জন জয় পেয়েছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ে ১১টির মধ্যে ৭টিতে আওয়ামীলীগ, ১টিতে বিএনপি আর স্বতন্ত্রপ্রার্থী জয় পেয়েছে ৩টি ইউনিয়নে।
দিনাজপুরে ৩৫টির মধ্যে ২১টিতে নৌকা, ৪টিতে ধানের শীষ প্রতীকে আর স্বতন্ত্রপ্রার্থী জয় পেয়েছেন ১০টিতে।
নীলফামারীতে ৫টির মধ্যে আওয়ামী লীগের জিতেছেন ৩জন আর স্বতন্ত্রপ্রার্থী ২জন বিজয়ী হয়েছেন।
পঞ্চগড়ের ১০টির ৩টিতে আওয়ামীলীগ, ৩টিতে বিএনপি প্রার্থী জয় পেয়েছে। আর স্থগিত রয়েছে ৪টির ফলাফল ঘোষনা।
লালমনিরাহাটে ১২টির নৌকা প্রতীকে জয় পেয়েছে ৭জন, আর স্বতন্ত্রপ্রার্থী জয় পেয়েছে ৫টিতে।
চট্টগ্রাম বিভাগে চট্টগ্রামের ৩০টির সবগুলিতে নৌকা প্রতীকে আওয়ামীলীগ প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
কক্সবাজারে ৭টির মধ্যে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন ২জন। ধানের শীষে ৩জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন ২ জন।
কুমিল্লায় ১৪টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ জিতেছে ৮টিতে, বিএনপি ৫টিতে: আর একটি ইউনিয়নের ফলাফল ঘোষনা স্থগিত করা হয়েছে।
নোয়াখালীতে ১৫টির মধ্যে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন ১১জন। এছাড়া ৩টি ইউনিয়নে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। আর ১টিতে ফলাফল ঘোষনা স্থগিত করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১১টি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ৯ এবং ২টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
সিলেট বিভাগের সিলেটে ১৩ ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ৫জন, বিএনপির ২জন আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন ৬ জন।
মৌলভীবাজারে ১৫টির মধ্যে নৌকা প্রতীকে জয় পেয়েছেন ১০জন, ধানের শীষ প্রতীকে ৪জন, আর স্বতন্ত্রপ্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন ১টিতে।
সুনামগঞ্জে ১৩টির মধ্যে ৯টিতে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ১টিতে আর স্বতন্ত্রপ্রার্থী জয় পেয়েছেন ৩টিতে।
হবিগঞ্জের ৫টিতে আওয়ামীলীগ জয় পেয়েছে ৩টিতে, আর স্বতন্ত্রপ্রার্থী জিতেছেন ২টিতে।
রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৮টির মধ্যে ৬টিতে নৌকা প্রতীকে, ২টিতে ধানের শীষের প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন।
জয়পুরহাটে ৯টির মধ্যে আওয়ামী লীগ জিতেছে ৮টিতে, আর স্বতন্ত্রপ্রার্থী জয় পেয়েছেন ১টিতে।
নওগাঁয়ে ১৯টির ১৪টিতে জয় পেয়েছে নৌকা প্রতীক, ১টি ধানের শীষ আর ৪টি জিতেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী।
নাটোরে ১১টির ৯টিতে আওয়ামীলীগ আর ১টি স্বতন্ত্র প্রার্থী জয় পেয়েছে। ফলাফল ঘোষনা স্থগিত আছে ১টিতে।
পাবনায় ১০টির মধ্যে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন ৭জন, আর ধানের শীষে বিজয়ী ৩জন।
বগুড়ায় ১৮টির মধ্যে আওয়ামীলীগ জিতেছে ১০টিতে, বিএনপি ৪টিতে আর স্বতন্ত্রপ্রার্থী জিতেছেন ৪টিতে।
সিরাজগঞ্জে ১০টির মধ্যে নৌকা প্রতীকে ৬জন, ধানের শীষ প্রতীকে ২জন জয় পেয়েছেন। ফলাফল ঘোষনা স্থগিত করা হয় ২টি ইউনিয়নের।
আরও পড়ুন