২০২২ সালে কলম্বোয় ফ্লাইট চালু করবে ইউএস-বাংলা
প্রকাশিত : ২২:৩০, ১ নভেম্বর ২০২১
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স শ্রীলঙ্কার কলম্বো রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করছে। ২০২২ সালের শুরুতেই এ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও সৌদি আরবের জেদ্দা, দাম্মাম, মদীনা, রিয়াদসহ শারজাহ ও আবুধাবিতে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করছে তারা।
সোমবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের একটি বেসরকারি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক-জনসংযোগ মো. কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ২০২২ সাল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এর জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং বছর। আমরা গত আট বছরের অভিজ্ঞতাকে সাথে নিয়ে শ্রীলঙ্কার কলম্বো রুটে ফ্লাইট শুরু করবে। এবছরের ডিসেম্বরের শেষে বা আগামী বছরের জানুয়ারিতে কলম্বো ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
এছাড়াও একই বছর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যাওয়ার পরিকল্পনা ইউএস-বাংলার। এই লক্ষ্যে আগামী বছরে এয়ারলাইন্সটির বহরে তিনটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং ৪ টি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট যুক্ত হতে যাচ্ছে।
কামরুল ইসলাম বলেন, আগামী বছরের মধ্যে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন ক্যাটাগরি - ওয়ান অর্জন করতে পারে তাহলে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ২০২৩ সালের মধ্যে ঢাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করবে। এছাড়া ইউরোপের বিভিন্ন গন্তব্য বিশেষ করে লন্ডন, আমস্টারডাম, রোম, প্যারিসসহ বেশ কয়েকটি গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করার পরিকল্পনাও রয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে ইউএস-বাংলার বিমান বহরে আরো ৮ টি এয়ারবাস ৩২১ - এলআর সিরিজের এয়ারক্রাফট যোগ করার পরিকল্পনাও রয়েছে ।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বর্তমান ফ্লাইট পরিচালনা পরিস্থিতি নিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এয়ার বাবল চুক্তির অধীনে ইউএস-বাংলা ঢাকা থেকে কলকাতা ও চেন্নাই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে। এছাড়াও দুবাই, দোহা, মাস্কাট, এশিয়ার অন্যতম গন্তব্য সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর , চীনের গুয়াংজুতে স্বল্প পরিসরে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস - বাংলা। আশা করছি খুব শীঘ্রই ব্যাংকক রুটেও ফ্লাইট শুরু হবে।
করোনাকালে সারাবিশ্বের আকাশপথ যখন স্থবির তখনকার দিনে ইউএস-বাংলার কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, করোনাকালে বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া বাংলাদেশীদের ফিরিয়ে আনতে ইউএস-বাংলা দুবাই, আবুধাবী, দিল্লী, চেন্নাই, মালে, কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর , হ্যানয় , এমনকি ফ্রান্সের প্যারিসসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১৫০ টির অধিক স্পেশাল ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। কোভিড মহামারির মধ্যে বাংলাদেশ সরকার তথা সিভিল এভিয়েশন অথরিটির অনুমতিক্রমে ইউএস - বাংলা প্যাসেঞ্জার এয়ারক্রাফটগুলোকে সাময়িকভাবে কার্গো এয়ারক্রাফটে রূপান্তর করে আয়ের পথকে কিছুটা সচল রাখার চেষ্টা করেছে ।
দেশের এভিয়েশন ও ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের সহায়তার জন্য আবেদন করেছে বেসরকারী এয়ারলাইন্সগুলো । বিশেষ করে এ্যারোনটিক্যাল ও নন এ্যারোনটিক্যাল চার্জকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা, জেট ফুয়েল প্রাইসকে আন্তর্জাতিক মানদন্ডে নিরূপন করা ইত্যাদি ইত্যাদি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম গঠনমূলক লেখনীর মাধ্যমে ভূমিকা রাখতে পারবে আমাদের বিশ্বাস।
বর্তমানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে ৪ টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও ৭ টি ব্র্যান্ডনিউ এটিআর ৭২-৬০০সহ মোট ১৪ টি এয়ারলাইন্স রয়েছে।
কামরুল ইসলাম বলেন, আধুনিক বিশ্বের এয়ারলাইন্সগুলোতে সেলফ চেক-ইন করার ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদের দেশে সেলফ চেক - ইনের কোনো সুযোগ নেই। ইউএস - বাংলা এয়ারলাইন্স খুব শীঘ্রই বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সেলফ চেক-ইন এর ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে যা ইউএস-বাংলার এগিয়ে যাওয়ার নিদর্শন।
কেআই//
আরও পড়ুন