ঢাকা, শুক্রবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

২০ হাজার মৌমাছির সঙ্গে গর্ভবতীর ফটোসেশন (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:০৮, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৬:১৯, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

অনেক গর্ভবতী নারীই গর্ভাবস্থায় ফটোসেশন করে থাকেন। জীবনের এই বিশেষ মুহূর্তটির স্মৃতি ধরে রাখতে কিংবা গর্ভবতী নারীদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে এমনটি করে থাকেন তারা। কিন্তু সেই ফটোসেশন হবে ২০হাজার জীবন্ত মৌমাছির সঙ্গে এমনটা ভাবা যায়! ভাবার দরকার নেই বাস্তবেই এমনটা করে দেখিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের গর্ভবতী এক নারী। ওহিও রাজ্যের বাসিন্দা এমিলি মুলার ২০ হাজার মৌমাছির সাথে এমন সাহসী ফটোসেশন করেন।

চতুর্থবারের মত সন্তান জন্ম দিতে যাওয়া এমিলি মুলার মৌমাছির চাষ করেন। স্বামী রাইয়ানের সাথে মিলে মৌমাছির একটি খাবার পরিচালনা করেন তারা। তাই মৌমাছিদের খুব একটা ভয় পান না এই দম্পতি। বরং মৌমাছি তাদের জীবনেরই একটি অংশ। কিন্তু তাই বলে সন্তান সম্ভবা অবস্থায় কাজটি ছিল বেশ সাহসিকতার।

৩৭ বছর বয়সী রাইয়ান জানান, “মৌমাছিগুলো আমাদের জীবনেরই একটি অংশ।”

আর এমিলি বলেন, “মৌমাছি আমি মোটেও ভয় পাই না। বরং এগুলো আমাদের জীবনেরই একটি অংশ। তাই সুযোগ যখন পেলাম তখন ফটোশ্যুটের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম।”

 ফটোসেশনের এই অভিজ্ঞতাকে এমিলি ‘রোলার কোস্টারে’ চড়ার সাথে তুলনা করেন।

তবে এমন সাহসী ফটোসেশনের পরিকল্পনা দেন ক্যামেরা পার্সন কেন্ড্রা দামিস। মৌমাছিগুলোকে এমিলির সুঢৌল পেটের ওপর শান্তভাবে বসিয়ে রাখতে তারা নেন এক অভিনব এবং সাহসী পদক্ষেপ। মৌমাছির একটি চাকের ভেতর থেকে রানীকে বের করে এনে খাঁচায় বন্দি করা হয়। এরপর খাচাঁবন্দি রাণীকে এনে রাখা হয় এমিলির পেটের ওপর। এরপরেই মৌমাছিগুলো রাণীকে ঘিরে এমিলির পেটের ওপর এসে বসে থাকে। আর ছবির জন্য পোজ দরকার তারা তা পেয়ে যান। তবে পুরো বিষয়টিতে এমিলির নিরাপত্তার দিকও মাথায় রাখা হয়েছিল বলে জানান তারা। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন ক্যামেরা পার্সন দামিস।

উত্তেজিত দামিস লেখেন, “জীবনের এক অনন্য অভিজ্ঞতা এটা। সবার মেলে না। এমিলির ছবি তোলাও জীবনের এক অনন্য অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।”

ছবিগুলো ইতোমধ্যে অনলাইন দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। অনেকে আবার ব্যাপারটাকে সহজে নেননি। কেউ কেউ মনে করেছেন এমিলি নিজেকে এবং তার অনাগত সন্তানকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ লিখেছেন, একটা মৌমাছি যদি দুর্ঘটনাক্রমে হুলও ফোটাতো তাহলেই এমিলি অ্যানাফাইল্যাক্টিক শকে আক্রান্ত হতেন। বিশেষ করে তার শিশুটি মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হতো। তবে এমিলি এমন আশংকা উড়িয়ে দিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “অনেকেই মনে করতে পারেন আমি আমার গর্ভের শিশুকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছি। কিন্তু মৌমাছিও নিরীহ এবং আমার পেটের উপর মৌমাছির এমন অবস্থান তাই প্রমাণ করে। আসলে আমরা মৌমাছিকে যত ভয়ংকর মনে করি বিষয়টা তা না।”

মৌমাছির ব্যাপারে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতেই এমনটা করেছেন বলে জানিয়েছেন এমিলি। আর পুরো ফটেসেশনের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন তারা।

সূত্রঃ হাফিংটন পোস্ট

এসএইচ/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি