ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

২৫% ছাড়ে প্লট দিচ্ছে পূর্বাচল মেরিন সিটি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪২, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৪:৫৪, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭

সু-পরিকল্পিত আবাসান আর এক খন্ড নির্ভেজাল নিষ্কটক জমি প্রত্যেক মানুষেরই আজন্ম লালিত স্বপ্ন। সেই  স্বপ্নের ঠিকানা বাস্তবায়নের  আবাসন মেলাতে ২৫% ছাড়ে প্লট দিচ্ছে পূর্বাচল মেরিন সিট। রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)  আয়োজনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সস্মেলন কেন্দ্রে গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া পাঁচদিনব্যাপী আবাসন মেলার আজ চতুর্থ দিন। সেখানে স্বপ্নের ঠিকানার সন্ধানে এসেছেন ক্রেতারা।

পূর্বাচল মেরিন সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন মো: শাহ আলম একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সালের আগস্টে। অতি আনন্দের বিষয় পূর্বাচল মেরিন সিটি ইতিমধ্যে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ৩০০ প্লট হস্তান্তরের উপযোগী করে তুলেছে। অতি শিগগিরই প্লটগুলো ক্রেতাদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে। তিনি আরও বলেন,  মেলা উপলক্ষে ক্যাশ পেমেন্ট ২৫% ছাড়সহ ৩ দিনের মধ্যে সাফ কাওলা এবং প্লট বুঝিয়ে দেয়া হয়।

তিনি আরও জানান, এটি বাংলাদেশের একমাত্র আবাসন প্রকল্প যা রাজউক পরিকল্পিত মেগাসিটি পূর্বাচল নিউ টাউননের সেক্টর- ২১, ২২ ও ৩০ দ্বারা পরিবেষ্টিত এবং জিন্দা পার্ক সংলগ্ন। এদিকে, খুব অল্প সময়ের মধ্যে তিন শতাধিক প্লট হস্তান্তরের উপযোগী করে তুলেছে পূর্বাচল মেরিন সিটি, যা শিগগিরই হস্তান্তর করা হবে।

ক্যাপ্টেন মো. শাহ আলম আরও বলেন, পূর্বাচল মেরিন সিটি মূলত একটি কমিউনিটি ভিত্তিক আবাসন প্রকল্প। শুধুমাত্র এই প্রকল্পেই আছে নানাবিধ পেশার লোকদের স্বতন্ত্র ও আলাদা আবাসিক জোন। যেমন- ক্যাপ্টেন্স হোম, ইঞ্জিনিয়ারস ভিলা, চ্যার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ভিলা ইত্যাদি। এসব পেশার লোকদের একসাথে বসবাসের সুযোগে এ প্রকল্পে আবাসনের ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। আপনিও আপনার পেশার লোকদের নিয়ে কিংবা স্বতন্ত্রভাবে থাকার সুযোগ নিতে পারেন।

পূর্বাচল মেরিন সিটি রাজউক পূর্বাচল নিউ টাউন প্রজেক্ট সন্নিহিত প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্য  আর আধুনিকতার এক অনন্য সমাহার। পূর্বাচল মেরিন সিটি বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসারদের দ্বারা পরিচালিত একটি আবাসন প্রকল্প।

প্রকল্পের অবস্থা : ‘পূর্বাচল মেরিন সিটি’ দেশের এক এবং একমাত্র আবাসন প্রকল্প যা রাজউক পরিকল্পিত মেগাসিটি পূর্বাচল নিউ টাউনের ২১, ২২ ও ৩০ নম্বর সেক্টর দ্বারা পরিবেষ্টিত। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে ১০ কি.মি দূরত্বের মধ্যে। ১৮০ ফুট এশিয়ান হাইওয়ে/ঢাকা বাইপাস এর সাথে লাগানো। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাত্র ১০ মিনিটের ড্রাইভ। নয়নাভিরাম ইকোপার্ক ‘জিন্দা’ লাগানো। লাল শক্ত উচু মাটি বলে ভরাট/পাইলিংয়ের প্রয়োজন হবে না।

বিশেষত্ব :

* রাজউক পরিকল্পিত মেগাসিটি পূর্বাচল নিউ টাউনের ২১, ২২ ও ৩০ নম্বর সেক্টর দ্বারা পরিবেষ্টিত হওয়ায় সকল নাগরিক সুবিধা পাওয়ার সর্বোত্তম সুযোগ। এছাড়া, সম্পূর্ণ বন্যা ও দূষণমুক্ত নির্মল পরিবেশ যা এখনই বাড়ি করার উপযোগী। ভূ-কম্পন প্রবণ এলাকার পুরোপুরি আওতামুক্ত। প্রাকৃতিক ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় গড়ে উঠা সুপরিকল্পিত শহর যা সকলকে মুগ্ধ করবেই। প্রাকৃতিকভাবে প্রকল্পের জায়গাটি সম্পূর্ণ উঁচু ও টেকসই লাল মাটির আস্তরণ। আমাদের প্রকল্পের মাটি ভরাট তো লাগবেই না, বরং মাটি কেটে সমান করতে হবে। এটি অন্যান্য গৃহায়ন কোম্পানীর মতো নদ-নদীর গতি প্রবাহ কিংবা নিচু জলাশয়ের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী প্রকল্প নয়। সুতরাং সরকারি বিচার বিভাগীয় বিধি-নিষেধ আরোপের শঙ্কামুক্ত। শক্ত মাটি বলে পাইলিং ছাড়াই বাড়ি করার অনন্য সুবিধা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য শোভিত ২০০ বিঘা ইকোপার্ক (জিন্দা পার্ক) সংলগ্ন। বৈকালিক ও প্রাত:ভ্রমনের বিশেষ সুবিধা। প্রকল্পের প্রবেশ পথ ১৮০ ফুট এশিয়ান হাইওয়ে সংযুক্ত। অভ্যন্তরীণ সুপ্রশস্ত রাস্তাঘাট। সাশ্রয়ী মূল্য ও আন্তর্জাতিক মানের আবাসিক প্রকল্প। সকল প্রকার আধুনিক সুযোগ-সুবিধা; যেমন খেলার মাঠ, কবরস্থান, ধর্মীয় ও সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিংমল, কমিউনিটি সেন্টার, হাসপাতাল, ক্লিনিক, হেলথ ক্লাব ইত্যাদি বিদ্যামান। সর্বোপুরি সমুদয় প্রকল্পটি যেনো সবুজ বৃক্ষ শোভিত স্নিগ্ধ প্রকৃতির এক অপরুপ লীলাভূমি। দেশি-বিদেশী দক্ষ-অনুমোদিত স্থপতি, পরিবেশবিদ ও শহর পরিকল্পনাবিদদেও দ্বারা সরকারি নিয়ম নীতি অনুযায়ী সুপরিকল্পিত আধুনিক প্রকল্প। প্রকল্পটির জমির মূল্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পের এক তৃতীয়াংশ মাত্র।

 

আর,টিআর/এমআর


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি