ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৪৯, ২৫ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ১৫:৫৩, ২৫ মার্চ ২০২২

একাত্তরে ২৫শে মার্চের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাইলেন মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তানেরা। একই সাথে এই নৃশংসতার জন্য পাকিস্তানের বিচার দাবি করেছেন তারা।

শুক্রবার (২৫ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাহুল হোসেন মানিক মিয়া হলে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ৭১ এর গণহত্যা ও পাকিস্তানের বর্বরতা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এই দাবি জানান তারা।

অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, "১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল তার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে হবে। এর জন্য কোন রাখঢাক নাই। আজকে এটা স্বতঃসিদ্ধ এখানে ম্যাসাকার হয়েছে গণহত্যা হয়েছে, আমাদের ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন, অসংখ্য মা-বোন নির্যাতিত হয়েছেন। এগুলো প্রমাণের আর অপেক্ষা রাখে না। ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করব।"

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহবায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "২০১৭ সাল থেকে জাতীয়ভাবে ২৫শে মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে আসছে যদিও দিবসটিকে এখনও আন্তজার্তিকভাবে কোথাও স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দিলেও ২৫ শে মার্চের ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞকে কোন দেশই স্বীকৃতি দেয়নি। অথচ ২৫শে মার্চের কালরাতে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যার স্বাক্ষী হয়েছে বাংলাদেশ।"

সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, বীরপ্রতীক লে. কর্নেল সাজ্জাদ আলী জাইঃ (অব.), কর্নেল তৌফিকুর রহমান (অব.) সহ অনেকে। 

অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর ২৫ মার্চের ভয়াবহতার ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা হয়েছে যা এখনো চলমান। তাই ঘরে ঘরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ২৫শে মার্চের গণহত্যার ঘটনাপ্রবাহ ছড়িয়ে দিতে নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানো প্রয়াস ব্যাক্ত করেন তারা।

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি