৩ নভেম্বর ‘জাতীয় শোক দিবস’ চায় তাজ
প্রকাশিত : ১২:০৬, ২৯ অক্টোবর ২০২২
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ জেলহত্যা দিবসকে ‘জাতীয় শোক দিবস’ ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবি জানিয়েছেন। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে তার বাবা বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদসহ জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই দিনটিকে স্মরণ করে প্রতিবছর ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে সোহেল তাজ এই দাবি তুলে ধরেন।
তিনি পোস্টে লিখেছেন, ‘আগামী ৩ নভেম্বর কলঙ্কময় জেলহত্যা দিবস। দেখতে দেখতে ৪৭ বছর পার হয়ে গেল। অথচ, এখন পর্যন্ত জাতির এই চার বীর, যাদের নেতৃত্বে সফলভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হলো, যাদের নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেলাম এবং যাদের প্রচেষ্টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে বাংলার বুকে ফিরে পেলাম, আজ অবধি রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের কোনো স্বীকৃতি নেই। এটা মেনে নেওয়া যায় না!’
ওই পোস্টে তিনি তিনটি দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো-
১. যেহেতু ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়, বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে, তাই দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে।
২. ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবসকে ‘জাতীয় শোক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে।
৩. জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
আমি মনে করি, আমার এই তিন দাবি ন্যায্য ও যৌক্তিক এবং এটা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সবার প্রাণের দাবি।
পোস্টে তিনি একটি কর্মসূচি ঘোষণা করে লিখেছেন, আগামী সোমবার ৩১ অক্টোবর বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে (মানিক মিয়া এভিনিউ) সমাবেশ এবং স্পিকারের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হবে। এই সমাবেশে স্বাধীনতা বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সবাইকে অংশ নেওয়ার জোর আহ্বান জানাচ্ছি।
সোহেল তাজ তার পোস্টে আরও উল্লেখ করেন, বিঃ দ্রঃ শোক দিবস একাধিক হতে পারে। যেমন- ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৪ ডিসেম্বর।
এসএ/
আরও পড়ুন