৪ লাখ টাকা চুক্তিতে সিএনজি চালককে খুন, গ্রেপ্তার ৮
প্রকাশিত : ১৪:৫৬, ১৩ মার্চ ২০২৩
পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পনা অনুযায়ি ৪ লাখ টাকা চুক্তিতে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছিল নোয়াখালীর সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নে সিএনজি চালক আবদুল হাকিমকে (৩৫)। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ জনকে, উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশিয় অস্ত্র।
প্রাথমিক তদন্তে ও গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যাকাণ্ডে ১২ জন সরাসরি জড়িত ছিল বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সিএনজি চালক হাকিম হত্যাকাণ্ডের বিবরণ তুলে ধরেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
পুলিশ সুপার বলেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে সিএনজি জমা দেওয়ার কথা বলে চালক হাকিমকে তার বাড়ি পশ্চিম চরমটুয়ার সফিগঞ্জ বাজারের পাশে ডেকে নিয়ে যান সিএনজির মালিক মহিম। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ি ওই বাড়িতে উৎ পেতে ছিলেন কামাল, রিপু, মোমেন, নুর আলম। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই মহিমসহ অন্য আসামিরা আবদুল হাকিমকে মুখ ও হাত-পা বেঁধে সফিগঞ্জ বাজারের দক্ষিণ পাশের ইদ্রিস মিয়ার বাড়ির পাশ্ববর্তী একটি সয়াবিন ক্ষেতে নিয়ে যান।
সেখানে নিয়ে তাকে গলা কেটে হত্যার পর মরদেহ বস্তায় ভরে ওই ক্ষেতের মধ্যে গর্ত করে মাটি চাপা দিয়ে চলে যায়। পরদিন সকালে চাষিরা বিষয়টি দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রুবিনা বেগম বাদি হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জন আসামি হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
তিনি আরও বলেন, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীসহ অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এএইচ
আরও পড়ুন