৫০৬ ব্যক্তির নামে সোনালী ব্যাংকে গায়েবি ঋণ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৪:৪৩, ২১ জানুয়ারি ২০২৪
রাঙামাটিতে সোনালী ব্যাংক লংগদু শাখায় ৫ শতাধিক ব্যক্তির নামে ভূয়া ঋণ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, ঋণ নিতে কেউ ব্যাংকে যাননি; তারপরও তাদের নামে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকার বেশি ঋণ নথিভুক্ত হয়েছে। নোটিশ দেয়া হয়েছে পরিশোধের। ব্যাংক বলছে, বিষয়টি তদন্তাধীন। আর জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ, দালালচক্র এবং অসাধু ব্যাংক কর্মকর্তাদের কারসাজিতে ঘটেছে এমন ঘটনা।
রাঙামাটির দুর্গম লংগদু উপজেলার ভাসন্যাদাম ইউনিয়নের ৫০৬ ব্যক্তি সম্প্রতি জানতে পারেন, তাদের নামে ২০১২ থেকে ১৪ সালে সোনালী ব্যাংক লংগদু উপজেলা শাখা থেকে ঋণ বিতরণ হয়েছে। যার মোট পরিমাণ সুদাসলে এখন প্রায় ৩০ কোটি টাকা।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, গেল বছরের শেষ দিকে ব্যাংক থেকে ঋণ পরিশোধের নোটিশ পেয়ে চমকে ওঠেন তারা। এতে দেখা যায়, কারো কারো নামে একাধিক ব্যাংকঋণ। পরিমাণ ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা। কারো নামে এর চেয়েও বেশি।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, স্থানীয় দালালদের সহায়তায় তাদের নামে ভুয়া ঋণ তুলেছেন অসাধু ব্যাংক কর্মকর্তারা। কথিত ভুয়া ঋণ থেকে মুক্তি পেতে এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগীর একজন জানান, দেখলাম ২১৮টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এর মধ্যে এক ব্যক্তির নামে ৪টি, কারো নামে ৩টি, ২টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। এই অ্যাকাউন্টগুলোর টাকা সুদে-আসলে দাঁড়িয়েছে ৩০ কোটি।
আরেকজন জানান, আমার নামে লোন দেড় লাখ টাকা। এই বুড়া বয়সে কোত্থেকে দিব এই টাকা। আমি বাঁশ কেটে বাজারে বিক্রি করে তা দিয়ে কোনো রকমে চলি।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, ঋণ থাকায় কোনো উৎস থেকে কারো নামে কোনো অর্থ ব্যাংকে আসলে ওই ঋণের বিপরীতে তা কেটে নেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি নন লংগদু শাখা ব্যবস্থাপক। তবে রাঙামাটি প্রিন্সিপাল শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন।
স্থানীয় দালাল চক্র আর সেসময়কার অসাধু ব্যাংক কর্মকর্তার যোগসাজসে এই অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ জনপ্রতিনিধিদের।
লংগদু উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার বলেন, “সরকারের বিভিন্ন সুবিধা পেতে ভোটার আইডি কার্ড ও চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট লাগে। এগুলো নিয়ে গরীব মানুষগুলোকে ঠকিয়েছে।”
সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান ও দোষীদের বিচার দাবি পাহাড়ের বাসিন্দাদের।
এএইচ
আরও পড়ুন