ঢাকা, রবিবার   ২৩ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

৫৫৩ বছরের পুরোনো মসজিদ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৫৮, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

প্রকৃতির লীলাভূমি বাংলাদেশ। দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে আছে প্রকৃতির অপার মহিমা। সঙ্গে আছে চোখ ধাধানো স্থাপত্য ও পুরাকীর্তিও। এসব পুরাকীর্তির একটি পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জের মজিদবাড়িয়া শাহী জামে মসজিদ।

প্রাচীন এই মুসলিম স্থাপত্য-শিল্পটি ৫৫৩ বছর আগের তৈরি। সেই সুলতানি আমলে। মসজিদের নামানুসারে এলাকার নাম ছিল মসজিদবাড়িয়া।

জানা যায়, পরবর্তীতে মজিদ নামে এক ইউপি চেয়ারম্যান মসজিদবাড়িয়াকে মজিদবাড়িয়ায় পরিবর্তন করেন।

কালের পরিক্রমায় মসজিদটির সৌন্দর্য ও ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। শিল্প ও স্থাপত্যের নিদর্শনগুলো যত্নের অভাবে দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তবুও ঐতিহাসিক মসজিদটি দেখতে ভিড় জমান শত শত দর্শনার্থী। পটুয়াখালী জেলা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং বরগুনা জেলা শহর থেকে ১২ কিলোমিটার পূর্বে মসজিদটির অবস্থান।

ঐতিহাসিক বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ইলিয়াছ শাহী বংশের স্বাধীন সুলতান রুকনুদ্দিন শাহ্ তৎকালীন বাকলা দখল করে ১৪৬৫ সালে মসজিদটি নির্মাণ করেন। চন্দ্রদ্বীপে (বর্তমান বরিশাল বিভাগের) এ মসজিদই ইটের নির্মিত সর্বপ্রথম স্থাপত্যকীর্তি।

মসজিদটিতে একটি বারান্দা আছে। রয়েছে কারুকার্যমণ্ডিত তিনটি দৃষ্টিনন্দন মেহরাব। মসজিদের পূর্ব পার্শ্বে তিনটি খিলান পথ ও আট কোণার মিনারের মতো ছয়টি থাম রয়েছে। পূর্ব-উত্তর ও দক্ষিণ দিকে দু’টি করে জানালা আছে। কিন্তু সংস্কারের অভাবে দরজা-জানালার কপাট ও চৌকাঠগুলো ভেঙে পড়ার পথে।

বিশাল এক গম্বুজ মসজিদটিকে অনিন্দ্য সৌন্দর্য দিয়েছে। মসজিদের দেয়াল প্রায় ৭৫ ইঞ্চি পুরু। মসজিদের ভেতরের দেয়ালে রয়েছে বিভিন্ন কারুকাজকৃত মুসলিম স্থাপত্যের প্রাচীন কিছু নিদর্শন। কিন্তু অযত্নে দেয়ালের পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন, দ্রুত সংস্কার করলে মসজিদটি আরো দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। বাংলাদেশে মুসলিম শাসনের ইতিহাস-ঐতিহ্য, ইসলামি স্থাপত্যশিল্প হিসেবে টিকে থাকবে বহুদিন।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি