৬০ বছরেও বিশ্ব সেরা পুতুল ‘বার্বি’
প্রকাশিত : ০৯:২৪, ১০ মার্চ ২০১৯ | আপডেট: ১১:০০, ১০ মার্চ ২০১৯
বিশ্বের সাড়া জাগানো পুতুল ‘বার্বি’। ৯ মার্চ তার ৬০ বছর পূর্ণ হলো। ১৯৫৯ সালের ওই দিনে নিউইয়র্কের একটি পুতুল প্রদর্শনীতে পুতুলটির যাত্রা হয়েছিল। যা ধীরে ধীরে সারা পৃথিবীর অন্যতম আদরণীয় একটি বস্তুতে রূপ নেয়।
দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ‘বার্বি’ কখনো চিকিৎসক, কখনো মহাকাশচারী; এমনকি ছাত্রী থেকে প্রেসিডেন্ট— এমন নানা চরিত্রে সেজেছে। এভাবে পুতুলটি শিশুদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। অভিভাবকরাও তাদের সন্তানের হাতে তুলে দিয়েছেন অনন্য সুন্দর এই বার্বি পুতুল। বাংলাদেশেও এই পুতুলটির জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বি। বলা হয়ে থাকে পৃথিবীতে সারাবছর যে পরিমাণ পুতুল বিক্রি হয় তার ৯০ শতাংশ বার্বি সিরিজের।
জন্মের ছয় দশক পরেও বার্বি এখনো সমান জনপ্রিয়। বার্বি ব্র্যান্ডের গ্লোবাল জেনারেল ম্যানেজার লিসা ম্যাকনাইট জানান, পৃথিবীতে প্রতি মিনিটে একশ’ বার্বি পুতুল বিক্রি হয়। শিশুরা তাদের চারপাশে যে চরিত্রগুলো দেখতে পায় তার সবই আছে বার্বির চরিত্রে। যে চরিত্রটি এত জনপ্রিয়তা পেয়েছে সেটির শুরুর পথটা এত মসৃণ ছিল না।
পুতুলটি তৈরি করেন রুথ হাডলার নামের এক নারী। পরবর্তীতে এটি বাজারজাতকরণের জন্য তিনি তার স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাটেল নামের একটি কোম্পানি তৈরি করেন। হাডলারের মেয়ে বারবারা একদিন জার্মানির তৈরি একটি পুতুল নিয়ে খেলা করছিল। এটি দেখে হাডলার মনে মনে ভাবেন আমরা কেন একটি পুতুল কোম্পানি তৈরি করতে পারি না? সেখান থেকে বার্বির যাত্রা শুরু।
প্রথম প্রথম বার্বি উঠতি বয়সের মেয়েদের সঙ্গী ছিল। কিন্তু আস্তে আস্তে বার্বি তার চরিত্র থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে। ১৯৬০ সাল থেকে বার্বিকে দেওয়া হয় নানা চরিত্র। কখনো সে নার্স, আবার কখনো ফ্যাশন এডিটর, ফ্লাইট এটেনডেন্ট, এক্সিকিউটিভ ক্যারিয়ার গার্ল ইত্যাদি।
স্লিম ফিগার এবং সাদা চামড়ার জন্য নিন্দুকেরা বার্বির সমালোচনাও করতে ছাড়েননি। সমালোচনার পর ১৯৬৭ সালে সৃষ্টি করা হয় কালো রঙের বার্বি। এরপরও দীর্ঘ সময় ধরে তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলতেই থাকে।
বিশেষ করে বার্বির শরীরের গঠন নিয়ে। লম্বা, খাটো এবং মোটা, এমনকি হিজাব পরা বার্বিও দেখা গেছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘বার্বি ফ্যাশিউনিস্তা’ নামের একটি নতুন সিরিজ চালু করা হয়। সেখানে দেখা গেছে বার্বি একটি হুইল চেয়ারের মধ্যে বসে আছে।
এসএ/