ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪

৬১টি বহুমুখী আশ্রয়কেন্দ্র হস্তান্তর করেছে ইউএসএআইডি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৪০, ২৯ এপ্রিল ২০২১ | আপডেট: ১৭:৪৮, ২৯ এপ্রিল ২০২১

১৪৪টির মধ্যে ৬১টি বহুমুখী দুর্যোগকালীন আশ্রয়কেন্দ্র সংস্কারের কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার কক্সবাজার ও বান্দরবানে আরও ২৫টি নতুন বহুমুখী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করবে, যেগুলো দুর্যোগে নিরাপদ আশ্রয় এবং অন্য সময় স্কুল হিসেবে ব্যবহৃত হবে। 

১৯৯১ সালে ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের ৩০তম বার্ষিকীতে ৬১টি মাল্টি-পারপাস সাইক্লোন শেল্টার (এমপিসিএস) সংস্কার শেষে ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছে।  

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ইউএসএআইডি বাংলাদেশ ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি মিশন ডিরেক্টর মিলান পাভ্লোভিচের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুর রহমান।  এই এমপিসিএসগুলো ব্যবহার করা যাবে দুটি উদ্দেশ্যে।  বছরের বেশিরভাগ সময় এগুলো ব্যবহৃত হবে স্কুল হিসেবে এবং ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মৌসুমে ব্যবহৃত হবে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে। কক্সবাজারের মধ্য চকরিয়া এমপিসিএস থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে।  মহামারির কারণে অতিথি বক্তারা যোগ দিয়েছিলেন ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে আজ সকাল ১০ ঘটিকায়।  প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় এই সরকারি এমপিসিএসগুলোতে আশ্রয় নিতে পারবে ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ এবং এগুলো বাংলাদেশের মানুষের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের অঙ্গীকারের একটি সাম্প্রতিক নিদর্শন।

ইউএসএআইডির ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি মিশন ডিরেক্টর পাভ্লোভিচ বলেন, “১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের বার্ষিকীতেএই পুনর্নির্মিত ও সংস্কারকৃত মধ্য চকরিয়া সরকারি এমপিসিএস হস্তান্তর করতে পেরে আমি খুবই সম্মানিত বোধ করছি।  প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহনশীলতা তৈরিতে সহায়তা এবং স্কুলের পুনর্গঠনে অবদান রাখতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র সরকার গর্বিত।  এই উদ্যোগের ফলে স্থানীয় শিশুরা, শিশুবান্ধব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উন্নত শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠী প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময়নিরাপদ একটি আশ্রয় পাবে।“ 

এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুর রহমান বলেন, “ইউএসএআইডির অর্থায়নে কেয়ার ও সেভ দ্য চিলড্রেন এই ৬১টি স্থাপনা সংস্কারের কাজ করেছে। তবে আমরা, আমাদের এই স্থানীয় জনগোষ্ঠীই এগুলোর সত্যিকারের মালিক। আমরা যদি এগুলোর যত্ন নিতে পারি, তাহলে জরুরি অবস্থার সময় এগুলোও আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে। 

“কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদসহ সরকার ও স্কুলের অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।  তাঁর ভাষায়, “খুবই দারুণ একটি কাজ শেষ করার জন্য,” অর্থদাতা প্রতিষ্ঠান ইউসএআইডি এবং বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান কেয়ার ও সেভ দ্য চিলড্রেনকে ধন্যবাদ জানান জেলা প্রশাসক। 

২০০১ সাল থেকে শুরু করে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৫০০-র বেশি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার, যেগুলো ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে ৯ লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় দেবে।  কক্সবাজার ও বান্দরবানে আরও ২৫টি নতুন মাল্টি-পারপাস ডিজাস্টার শেল্টার (এমপিডিএস) নির্মাণের কাজ দ্রুত শুরু করবে ইউএসএআইডি।  ২০২১ সালেই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে কেয়ার, সেভ দ্য চিলড্রেন ও স্থানীয় সহযোগী সংস্থা গ্রাউসের (GRAUS) মাধ্যমে। 

স্বাধীনতার পর থেকে, ইউএসএআইডির মাধ্যমে, বাংলাদেশের উন্নয়নে ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।খাদ্যনিরাপত্তা বাড়ানো ও অর্থনৈতিক সুযোগসৃষ্টি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নয়ন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ওচর্চার প্রসার, পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহনশীলতা বাড়ানোর মতো কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ২০২০ সালে ইউএসএআইডি একাই ২০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ সহায়তা দিয়েছে।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি