ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

দু-একদিনের মধ্যে মিলতে পারে এমপিও

৬ বছর পর আশার আলো দেখছেন ৪৯৪ শিক্ষক

প্রকাশিত : ১৫:৩৪, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১০:৪১, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

নানা জটিলতায় দীর্ঘ ৬ বছর আটকে থাকার পর অবশেষে এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে সারাদেশের স্কুল ও কলেজের তথ্যপ্রযুক্তি, বিজ্ঞান, চারুকলা ও শ্রেণি শাখার বাদ পড়া ৪৯৪ জন শিক্ষককে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, দুই একদিনের মধ্য-ই এমপিওভুক্তির আদেশ জারি হতে পারে।

সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) তালিকা অনুযায়ী, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর এসব শিক্ষকের এমপিওভুক্তির সুযোগ আসে। ওই সময় সাত হাজার ১৪৬ শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করে সরকার। কিন্তু বাদ পড়েন এসব শিক্ষক। অবশেষে ছয় বছর পর আবার তারা এমপিওভুক্তির সুযোগ পাচ্ছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) সালমা জাহান একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, গত ১ আগস্টের রেজুলেশন অনুযায়ী, এমপিওভুক্তি থেকে বাদ পড়া শিক্ষক ও শ্রেণি শাখার অতিরিক্ত শিক্ষকদের নতুন করে এপিওভুক্তি করার চিন্তা করছে। ইতোমধ্যে আদেশ জারি করতে সবকিছু প্রস্তুত শেষ করছে। দু’-একদিনে মধ্যে আদেশ জারি হতে পারে।

এ বিষয় জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) জাবেদ আহমেদ একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন,  নানা করণে যেসব শিক্ষক মাউশির তালিকার বাহিরে ছিলো তাদের এবার নতুন করে এমপিওভুক্তির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে জানা গেছে, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আদেশ জারির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। সবকিছু প্রস্তুত করা হয়েছে। সচিব দেখার পর সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে যেকোনো সময় আদেশ জারি করা হতে পারে। তিনি আরও বলেন, নতুন করে এমপিওভুক্তি করতে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে বঞ্চিত তথ্যপ্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও উৎপাদন ব্যবস্থাপনাসহ কয়েকটি বিষয়ের সাত হাজার ১৪৬ শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করে সরকার।

এসময় বাদ পড়েন ৪৯৪ জন শিক্ষক। এসব শিক্ষকের এমপিওভুক্তির বিষয় নিয়ে গত ১ আগস্ট বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই বৈঠকে ডিগ্রি স্তরের ৪৩৫ জন শিক্ষককে এমপিওভুক্তির নির্দেশ দিয়ে গত ২৮ আগস্ট আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত শ্রেণী শাখা অনুমোদনের বিপরীতে নিয়োগ দেওয়ায় এসব শিক্ষকদের ২০১১ সালের ১৩ নভেম্বর পরিপত্র জারি করে এমপিও বন্ধ করে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই পরিপত্রে বলা হয়েছিল, এমপিও নির্দেশিকা ২০১০-এ যাই থাকুক, পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অতিরিক্ত শ্রেণি শাখা বা বিভাগ খোলার ক্ষেত্রে ওইসব বিষয়ের বিপরীতে নিয়োগ দেওয়া শিক্ষকদের বেতন-ভাতা সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হবে। সরকার এসব শিক্ষকের বেতন-ভাতা বহন করবে না।

এমন আদেশ জারি হরার পর থেকে দীর্ঘ ৬ বছর কোন ধরনের বেতন মান না এসব শিক্ষকরা্। ফলে এতো দিন একপ্রকার মানবেতার জীবনযাপন করছিলেন। নতুন করে এমপিওর সুযোগ সৃষ্টি হওয়ার ফলে নতুন করে আশার আলো দেখছেন এসব শিক্ষকরা।

সূত্রে মতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ প্রদান সম্পর্কিত ১৯৯৫ সালের জনবল কাঠামো ২০১৩ সালে সংশোধন করে কম্পিউটার বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদটি প্যাটার্নভুক্ত করা হয়। আর ২০১০ সালের শিক্ষানীতি অনুযায়ী, কম্পিউটার বিষয়টি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নামে সংশোধন করে তা বাধ্যতামূলক করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের প্রস্তাবে তথ্যপ্রযুক্তি,বিজ্ঞান ও চারুকলাসহ কয়েকটি বিষয়ের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত নেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।

টিআর/ এআর

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি