৯/১১-এর প্রেক্ষাপট এবং তার পরিণতি ও জঙ্গিবাদের নতুন আশঙ্কা
প্রকাশিত : ০০:০৮, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ২৩:৫১, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯
স্নায়ুযুদ্ধের সূত্রে এবং আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতায় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৭৯ সালের শেষ দিকে সেনা অভিযান চালিয়ে আফগানিস্তান দখল করে নেয়। কাবুলে প্রতিষ্ঠিত করে নিজেদের পছন্দ মতো কমিউনিস্ট সরকার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেরা যেমন ভিয়েতনাম যুদ্ধের ফাঁদে পড়ে লজ্জাজনক পরাজয় বরণ করেছিল, সে রকম একটা পরিস্থিতিতে সোভিয়েত ইউনিয়নকে ফেলা এবং স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্বপূর্ণ পাকিস্তানকে কমিউনিস্টদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সৌদি আরব ও পাকিস্তানকে সঙ্গে নিয়ে আফগানিস্তানে প্রক্সি যুদ্ধ শুরু করে। অস্ত্র ও অর্থ দেয় আমেরিকা ও সৌদি আরব, আর মুজাহিদ রিক্রটমেন্ট, প্রশিক্ষণ এবং কাবুলের কমিউনিস্ট সরকারকে উৎখাতসহ সোভিয়েত বাহিনীকে ফিরে যেতে বাধ্য করার জন্য আফগানিস্তানের ভেতরে যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্বে থাকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী, যার প্রধান সমন্বয়ের কাজ করে গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। সৌদি আরব সঙ্গত কারণেই তাদের মতে নাস্তিক কমিউনিস্টদের ঠেকাতে ওই প্রক্সি যুদ্ধে যোগ দেয়।
পাকিস্তানে তখন জুলফিকার ভুট্টোকে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করে সদ্য ক্ষমতায় এসেছেন সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউল হক। পশ্চিমা বিশ্বে নিজের বৈধতা অর্জনের কৌশল এবং কট্টর ইসলামিস্ট শরিয়া রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আফগান যুদ্ধকে তখন জিয়াউল হক বিশেষ রহমত হিসেবে মনে করেন। যাকে বলা হয়ে থাকে গড সেন্ট অপরচুনিটি। কট্টর ইসলামিস্ট ওয়াহাবিতন্দ্রের জঙ্গিবাদি আধুনিক সশস্ত্র সংস্করণের রূপকার হচ্ছেন জেনারেল জিয়াউল হক। গত শতকের আশির দশকে আফগানিস্তানে সোভিয়েত বিরোধী যুদ্ধকে কেন্দ্র করে সারাবিশ্বের উগ্রবাদী ইসলামিস্ট ও জিহাদিতন্ত্রে উদ্বুদ্ধ যুবকদের পাকিস্তানে আগমন এবং তাদের সশস্ত্র প্রশিক্ষণের সমস্ত ব্যবস্থা করে জিয়াউল হকের পাকিস্তান সরকার।
আফগান যুদ্ধ শেষে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হাজার হাজার জিহাদি সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এবং তার মধ্য দিয়েই সশস্ত্র জঙ্গিবাদের বিশ্বায়ন ঘটে। এদের একটি বড় অংশ থেকেই সৃষ্টি হয় আইএস নামের জঙ্গি গোষ্ঠির, যারা ২০১৪ সালে ইরাক ও সিরিয়ার কিছু ভূখণ্ড দখল করে ইসলামিক খেলাফতের ঘোষণা দেয়। এখানে উল্লেখ্য, আশির দশকের মাঝামাঝিতে পাকিস্তানের ভূমিতে ওসামা বিন লাদেন আল কায়েদা নামক সশস্ত্র সংগঠনের জন্ম দেয়। ১৯৮৮ সালে স্বাক্ষরিত প্যারিস শান্তি চুক্তির পথ ধরে আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত সেনাবাহিনী ফেরত যায়। শুরু হয় কাবুলে ক্ষমতা দখলের গৃহযুদ্ধ। এক পর্যায়ে পাকিস্তান স্ট্র্যাটেজিক কৌশলের অংশ হিসেবে তালেবান জঙ্গি বাহিনী তৈরি করে, তাদের অস্ত্রশস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দেয় এবং ছদ্মবেশে পাকিস্তানি সৈন্যরাও তালেবান বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে যোগ দেয়। ফলে ১৯৯৬ সালে কাবুলে ক্ষমতা দখল করে তালেবান বাহিনী। তালেবান শাসনের ভয়াবহ রূপ সারাবিশ্ব দেখেছে। আধুনিকতা ও মানব সভ্যতার সব কিছু ধ্বংস করে আফগানিস্তানকে তারা প্রাচীন যুগের অন্ধকারে নিয়ে যায়।
তালেবানের মিত্র হিসেবে ওসামা বিন লাদেন আল কায়েদা বাহিনীসহ আফগানিস্তানে আশ্রয় নেয়। তখন তালেবান, আল কায়েদাসহ উগ্রবাদী ইসলামিস্টগণ মনে করে নাস্তিক কমিউনিস্টদের পরাজয়ের পর এখন নাসারাদের (পশ্চিমা বিশ্ব) বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরতে হবে, যাতে পশ্চিমারা মুসলিম দেশগুলো থেকে হাত গুটিয়ে নেয় এবং মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে শরিয়া রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়। এই চিন্তা থেকে ১৯৯৮ সালে ওসামা বিন লাদেন ফতোয়া জারি করে, ইহুদি ও আমেরিকানদের হত্যা করা মুসলমানদের জন্য ফরজ। তারই সূত্র ধরে লাদেনের সরাসরি পরিকল্পনা ও হুকুমে সোমালিয়ার জঙ্গি গোষ্ঠী আল-শাবাব বাহিনী ১৯৯৮ সালের আগস্ট মাসে একই দিনে একযোগে কেনিয়া ও তানজেনিয়ায় আমেরিকান দূতাবাসের ওপর জঙ্গি হামলা চালায়। তাতে ২৪৪ জন মানুষ নিহত হয়, যার বেশির ভাগই ছিল আমেরিকান নাগরিক।
পাল্টা হিসেবে আমেরিকা লাদেনকে হত্যা করার জন্য আফগানিস্তানে মিসাইল আক্রমণ চালায়। পাল্টাপাল্টির এক পর্যায়ে লাদেন তার আল কায়েদা বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর একসঙ্গে কয়েকটি বিমান ছিনতাই এবং সেগুলো নিয়ে আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে আমেরিকার অহঙ্কার নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়। একই দিনে পেন্টাগন ও হোয়াইট হাউসেও তারা আত্মঘাতী আক্রমণ চালায়। সব মিলিয়ে সেদিন তিন হাজারেরও বেশি নিরীহ মানুষ নিহত হয়। টুইন টাওয়ার ধ্বংসসহ সেদিনের সেই ঘটনার পেছনের কারণ হিসেবে আরেকটি ভাষ্য বাজারে একসময়ে উঠলেও তার পক্ষে জোরালো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। সেখানে কেউ কেউ বলার চেষ্টা করেছেন টুইন টাওয়ার ধ্বংসসহ ওই দিনের সব আক্রমণ আমেরিকার নিজের তৈরি। সেটি করেছে তারা অজুহাত সৃষ্টির জন্যে, যে অজুহাতকে ব্যবহার করে সেনা অভিযান চালিয়ে তারা যেন মধ্যএশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে তাদের আধিপত্যকে পাকাপোক্ত করতে পারে। এই ভাষ্যটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা আজকে করব না।
৯/১১-এর পর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ বিশ্বব্যাপী ইসলামিস্ট জঙ্গি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করে। প্রথমেই ২০০১ সালের অক্টোবর মাসে সেনা অভিযান চালায় আফগানিস্তানে। আফগানিস্তান দখল করে নেয়। সেখানে নিজেদের পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠা করে। আমেরিকাসহ ন্যাটো বাহিনীর এক লাখেরও অধিক সেনা সদস্য আফগানিস্তান জুড়ে অবস্থান নেয়। তালেবান সরকারের প্রধান মোল্লা ওমরসহ ওসামা বিন লাদেন পালিয়ে এসে পাকিস্তানে আশ্রয় নেয়। পাকিস্তানে তখন ক্ষমতায় সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফ। আমেরিকার ধমকে উপায়ন্তর না পেয়ে পাকিস্তান সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে আমেরিকার সঙ্গে যোগ দেয়। কিন্তু এই যুদ্ধে পাকিস্তান সব সময় দ্বিমুখী ভূমিকা পালন করেছে। একদিকে আমেরিকার সঙ্গে আছে, অন্যদিকে আবার তালেবান বাহিনীকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। বহু চেষ্টা করেও আমেরিকা তা ঠেকাতে পারেনি। ফলে আফগানিস্তানে সশস্ত্র জঙ্গিদের গেরিলা যুদ্ধ আজ পর্যন্ত থামেনি, বরং তালেবান বাহিনী পাকিস্তানের সহায়তায় এখন আরও বেশি শক্তিশালী। এর আরও কারণ আছে।
২০০১ সালে আফগান দখল সম্পন্ন করার পরপরই সেখানকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়ার আগেই ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্যে স্ট্র্যাটেজিক স্বার্থ উদ্ধারের লক্ষ্য হিসেবে মিথ্যা অজুহাতে আমেরিকা ২০০৩ সালে ইরাক দখল করে নেয়। পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ইরাকের এতদিনের প্রতিষ্ঠিত প্রশাসনিক ও সশস্ত্র বাহিনীর সম্পূর্ণ কাঠামো আমেরিকা ভেঙ্গে ফেলে। তার মাধ্যমে সৃষ্ট শূন্যতার সুযোগ নিয়ে আল কায়েদা থেকে দলছুট আল নুসরা সশস্ত্র সংগঠন, যারা পরবর্তীতে আইএস (ইসলামিক স্টেট) নাম ধারণ করে ২০১৪ সালে ঝটিকা অভিযানে ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল ভূ-খণ্ড দখল করে ইসলামিক খেলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। কথিত ইসলামিক স্টেটের আকস্মিক বিশাল উত্থানে বিশ্বব্যাপী উগ্রবাদী ইসলামিস্ট জঙ্গি সংগঠনগুলো চাঙ্গা হয়ে ওঠে। সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধের ফল হয় উল্টো। জঙ্গি সন্ত্রাস আরও শক্তিশালী হয়ে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া থেকে আইএস আকর্ষণে কয়েক হাজার যুবক-যুবতি ইরাক-সিরিয়ায় এসে আইএস বাহিনীতে যোগ দেয়। ফ্রান্স, বেলজিয়াম, ইংল্যান্ডসহ ইউরোপের ভেতরে অনেকগুলো বড় আকারের জঙ্গি আক্রমণ হয়, যার দায় স্বীকার করে আইএস। আফগানিস্তানে যুদ্ধ তো চলছে, তার সঙ্গে নতুনভাবে আমেরিকা-সৌদি আরবের নেতৃত্বে নতুন সামরিক অভিযান শুরু হয় আইএসের বিরুদ্ধে।
পরবর্তীতে দ্বৈত লক্ষ্য, অর্থাৎ সিরিয়ায় আসাদের গদি রক্ষা ও আইএস উৎখাতে রাশিয়া যুদ্ধে নামলে দৃশ্যপট বদলে যায়। ২০১৮ সালে এসে আইএস পরাজিত এবং ইরাক-সিরিয়া থেকে উৎখাত হয়েছে। ৯/১১-এর পর থেকে গত ১৮ বছরের হিসাব-নিকাশ করলে যা দেখা যায় তাহলো- এক. কয়েক লাখ নিরীহ মানুষের জীবন গেছে। প্রায় এক কোটি মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে শরণার্থী হিসেবে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। দুই. ইরাক, সিরিয়ার মতো দুটি আধুনিকমনা সমৃদ্ধ দেশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেখানে আজ প্রতিনিয়তই হাহাকার ও রক্তক্ষরণ চলছে। তিন. ধ্বংস হয়ে যাওয়া আফগানিস্তানে আবার সেই বর্বর তালেবান বাহিনী ক্ষমতায় বসার অপেক্ষায় আছে। আমেরিকাই তার জন্য দেন-দরবার করছে। চার. আন্তঃধর্মের সহঅবস্থানের জায়গাগুলো ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর উত্থান ঘটেছে। ভারত থেকে ইউরোপ, আমেরিকা পর্যন্ত মধ্য থেকে চরম ডানপন্থিদের উত্থান ঘটছে। হেইট ক্যাম্পেইন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। পাঁচ. আফগানিস্তান ও ইরাকে আমেরিকার কয়েক হাজার সেনা সদস্য নিহত হয়। কিন্তু তার বিনিময়ে বিলিয়ন-ট্রিলিয়ন ডলার কামাই করে নিয়েছে আমেরিকার অস্ত্র ব্যবসায়ী কোম্পানিগুলো। একই সঙ্গে ধ্বংস হয়ে যাওয়া দেশগুলোর পুনর্গঠন, পুনঃনির্মাণ ও পুনর্বাসনের নামে আন্তর্জাতিক কর্পোরেট হাউসগুলো ঠিকাদারির মাধ্যমে আরও বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ওইসব দেশ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে।
তবে এখন যা দেখছি, তাকে কি বলা যায়, ভাগ্যের পরিহাস, নাকি কূটকৌশলের পরিণতি। যে আফগানিস্তানে ১৮ বছর যুদ্ধ এবং প্রায় আড়াই হাজার নিজ বাহিনীর সৈন্যের প্রাণের বিনিময়ে তালেবান বাহিনীকে হটিয়ে নিজেদের পছন্দ মতো সরকার প্রতিষ্ঠিত করেছিল, সেই তালেবান বাহিনীকে আবার ক্ষমতায় আনার পথ বের করার জন্য তালেবানদের সঙ্গে একটা আপসরফার চেষ্টা করছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকা। যদিও কয়েকদিন আগে কাবুলে আত্মঘাতি বোমা হামলা ও তার দায় স্বীকার করার কারণে ডোনাল্ড ট্রাম্প আপাতত কাতারে অনুষ্ঠিত গত দেড় বছরের চলমান সংলাপকে স্থগিত করেছেন। আমেরিকা আফগানিস্তান থেকে অবশিষ্ট সেনাবাহিনীকে সম্মানের সঙ্গে প্রত্যাহার করে নিতে চাইছে। এই লক্ষ্যে তালেবানদের সঙ্গে আমেরিকার পক্ষে সংলাপ চালাচ্ছেন আফগান বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক জালমে খলিলজাদ।
সংলাপ সফল হলে, আমেরিকান সৈন্য প্রত্যাহারিত হলে সঙ্গে সঙ্গে নব্বই দশকের মতো আফগানিস্তানে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ শুরু হবে। পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ সমর্থনে সে গৃহযুদ্ধে জয়ী হয়ে কাবুলে ক্ষমতায় আসবে তালেবান বাহিনী। অর্থাৎ ব্যাক টু স্কয়ার ওয়ান। ১৮ বছর পূর্বে যেখানে ছিলাম সেখানেই ফিরে এলাম। তালেবান বাহিনী আবার আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসলে ভবিষ্যতে বৈশ্বিক জঙ্গিবাদ কোন দিকে ধাবিত হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশ্বের কোথায় কি ঘটবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তবে ভারত-বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য এটা যে আগাম বিপদ বার্তা সেটি নিশ্চিত করে বলা যায়।।
লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক
sikder52@gmail.com
** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।