ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

শিশু প্রহরে কচিকাঁচাদের বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস

মানিক শিকদার

প্রকাশিত : ১৫:১৯, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

শনিবার ছুটির দিনের সকালে শিশু প্রহরে ছিল কচি কাঁচাদের বাঁধ ভাঙা উচ্ছাস। বাবা মায়ের হাত ধরে বিভিন্ন স্থান শিশুরা এসেছে প্রাণের মেলায়। শিশুদের উৎসবে রঙিন হয় সিসিমপুর। এবার মেট্রোরেল কমিয়েছে বইমেলার দূরত্ব। 

টুকটুকি, হালুম, ইকরি আর শিকুদের নাচ-গানে উচ্ছ্বসিত শিশুরা।  

ইকরি-হালুমদের সাথে মজায় কাটে ছোট্টসোনামনিদের। বিনোদনের পাশাপাশি অভিভাবকরা সন্তানদের হাতে তুলে দেন নতুন বই। আর তাতে খুশির সীমা নেই ক্ষুদে পাঠকদের।

ক্ষুদে পাঠকরা জানাল, সিসিমপুর দেখে অনেক ভালো লেগেছে। সিসিমপুরের অনেক বই এবং অন্যান্য বইও কিনেছি। 

অভিভাবকরা জানান, সিসিমপুরে যে ক্যারেক্টারগুলো থাকে যেমন খাদ্যাভাস গড়া, বই পড়ার অভ্যাস। এই অভ্যাসগুলো ওই ক্যারেক্টারের মাধ্যমে যখন হয় তখন আসলে ওদের মনে গেঁথে যায়। সিসিমপুর তো টিভিতে দেখে কিন্তু বই মেলায় এসে যখন সরাসরি দেখলো তখন অনেক খুশি হয়েছে।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মেলায় এসে পাঠকরা খুঁজে ফিরেছেন পছন্দের বই।

এবারের মেলায় বাড়তি আনন্দ নিয়ে এসেছে মেট্রোরেল। অল্পসময়ে নিরাপদে মেলায় আসতে পেরে খুশি দর্শনার্থীরা।

বইমেলায় আগতরা জানালেন, আগারগাঁও থেকে বইমেলায় আসতে প্রায় দেড়ঘণ্টা চলে যেতো এবার মেট্রোরেলের সুবিধার্থে মাত্র ১০ মিনিটে চলে এসেছি।

মেলার তৃতীয় দিনের সকালে শিশু পাঠকদের সংখ্যাই বেশি। ছড়া, গল্প, শিশুতোষ উপন্যাস ও বিজ্ঞানভিত্তিক বইয়ের পাশাপাশি রূপকথার বইয়ের কাটতি বেশ।

প্রকাশ ও বিক্রেতারা জানান, গতকালের চেয়ে আজ বিক্রি ভালো হবে। গতকাল এতো মানুষ ছিল না কিন্তু আজ অনেক দেখছি। পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের বই সংকলন করা হয়েছে। 

বিক্রি নিয়েও সন্তুষ্ট প্রকাশক ও বিক্রেতারা।    

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি