ঢাকা, বুধবার   ০২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ভাষার মর্যাদা ও অধিকার রক্ষায় কাজ করছে মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট (ভিডিও

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩০, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

Ekushey Television Ltd.

প্রাণ দিয়ে মায়ের ভাষা রক্ষা করেছে বাঙালি। আর সেই শক্তিতেই বাংলাদেশের জন্ম। মাতৃভাষার জন্য যে জাতি প্রাণ দিয়েছে, যে দেশের জন্ম হয়েছে সেখানেই গড়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট। উপভাষা সংরক্ষণ, নৃ-ভাষার বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা ও ধ্বনিমূলক বর্ণমালা নিয়ে গবেষণা করছে প্রতিষ্ঠানটি। পৃথিবীর বিকাশমান ও বিলুপ্তপ্রায় ভাষার মর্যাদা ও অধিকার রক্ষাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। 

২০০১ সালে ১৫ মার্চ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটের ভিত্তি স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সঙ্গে ছিলেন জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব কফি আনান। প্রতিষ্ঠানটির অবকাঠামোর পূর্নাঙ্গ রূপ পায় ২০১০ সালে।

দাপ্তরিক কাজ শুরুর পর প্রতিষ্ঠানটি সীমিত জনবল নিয়েই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে এগিয়ে চলছে। গুরুত্ব দেয়া হয়েছে গবেষণা ও প্রকাশনায়। ভাষা আন্দোলনের তথ্যসংগ্রহ ও গবেষণার স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। 

পাশাপাশি বিশ্বের বিলুপ্তপ্রায় ভাষা সংগ্রহ ও সংরক্ষণে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফলস্বরূপ প্রতিষ্ঠানটির সংগ্রহে যুক্ত হয়েছে পৃথিবীর অর্ধশত ভাষার আদি বর্ণমালা।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. জীনাত ইমতিয়াজ আলী বলেন, মাতৃভাষা বলতে প্রকৃত অর্থে কিন্তু আমাদের উপভাষা। উপভাষাগুলো হারিয়ে যাচ্ছে তাই এগুলো কি করে সংরক্ষণ করা যায়, এর পদ্ধতি কি হবে এবং রিসোর্স পার্সন কারা হবেন এই নিয়ে আমরা ৮টি বিভাগে ওয়ার্কশপ করেছি।

জাদুঘরের সংগ্রহেও রাখা হয়েছে দুর্লভ ভাষার আর্কাইভ।

অধ্যাপক ড. জীনাত ইমতিয়াজ আলী আরও বলেন, পৃথিবীর বাস্তবতা হচ্ছে প্রতি তিনদিনে একটি ভাষার মৃত্যু হচ্ছে। এখন আমরা চেষ্টা করবো ওইগুলোর কিছু অডিও-ভিডিও নিয়ে সংরক্ষণ করা, যে ভাষাটি ছিল আমাদের।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর উপভাষার বৈজ্ঞানিক সমীক্ষায় প্রতিষ্ঠানটি গবেষণা শুরু করেছে। নিয়মিত চলছে আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালা ও মাতৃভাষা আশ্রয়ী প্রকাশনাও।

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি