ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৭ নভেম্বর ২০২৪

পাসপোর্ট জালিয়াত চক্র

মালয়েশিয়ায় ১৮ বাংলাদেশি আটক

প্রকাশিত : ১৩:৫২, ৭ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১৬:৫২, ১৪ মার্চ ২০১৮

আটক পাসপোর্ট জালিয়াত চক্রের কাছ থেকে উদ্ধার করা জাল পাসপোর্ট ও সরঞ্জাম।

আটক পাসপোর্ট জালিয়াত চক্রের কাছ থেকে উদ্ধার করা জাল পাসপোর্ট ও সরঞ্জাম।

পাসপোর্ট জালিয়াত চক্রের মুল হোতসহ ২৬ জনকে আটক করেছে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগ। এর মধ্যে ১৮ জন বাংলাদেশিও রয়েছেন।  সোমবার ক্লাং এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। ইমিগ্রেশনের দাবি এটি মালয়েশিয়ার সবচেয়ে বড় পাসপোর্ট জালিয়াত সিন্ডিকেট। 

ইমিগ্রেশন বিভাগের মহা-পরিচালক দাতুক সেরি মুস্তাফার আলীর বরাত দিয়ে দ্যা স্টার অনলাইলের খবরে বলা হয়েছ‘সোমবার রাতে ক্লাং উপত্যকায় ১৮ জন বাংলাদেশিকে পাসপোর্ট জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে একজন নারীও আছেন।  এসময় ২জন পাকিস্তানি, ৪জন ইন্দোনেশিয়ান নারী, একজন ফিলিপাইন নারী এবং একজন স্থানীয় নাগরিককেও আটক করা হয়। 

সেরি মুস্তাফা বলেন, আটকের সময় তাদের কাছ থেকে দুটি গাড়ি, কয়েকশ` জাল পাসপোর্ট, ইমিগ্রেশনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তার রাবার স্ট্যাম্প, আমেরিকা, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, কানাডা, ফ্রাঞ্চ, সুইজার ল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট, জাল ভিসা স্টিকার, চারটি কম্পিউটার, একটি প্রিন্টার এবং চারটি থাম্ব ড্রাইব উদ্ধার করা হয়।

সেরি মুস্তফার আলী গণমাধ্যমকে জানান, চক্রটি বাংলাদেশের জাল পাসপোর্ট তৈরির পাশাপাশি মালয়েশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের পাসপোর্ট ও ভিসা জাল তৈরি করে আসছিল। এই চক্রটি ইউরোপের বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার ডলারে বিক্রি করতো। এছাড়া মালয়েশিয়ায় কাজের জন্য জাল ভিসা এক হাজার থেকে ৩ হাজার রিঙ্গিতে বিক্রি করতো। 

মুল হোতা ৫০ বছর বয়সী বাংলাদেশি কুয়ালালামপুরের শ্রী পেটেলিংয়ে ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।  সেখানেও অভিযান চালিয়ে পাসপোর্ট তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে। পরে তার পরিবারের সদস্যদেরও আটক করা হয় বলে জানিয়েছে ইমিগ্রেশন বিভাগ।

প্রাথমিক তদন্তের পর মালয়েশিয়ার পুলিশ জানায়, সিন্ডিকেটটি টাকার বিনিময়ে নকল বাংলাদেশি শিক্ষা সার্টিফিকেট তৈরি করে বিভিন্ন কাজে যোগদানের জন্য বাংলাদেশিদের সহযোগিতা করে আসছিল। 

মুস্তফার আলী আরও জানান, এই সিন্ডিকেট বাংলাদেশি বা অন্যদেশের নাগরিকদের মালয়েশিয়ায় নিয়ে এসে জাল ভিসা তৈরি করে কানাডা, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, কোরিয়া, জাপানসহ আরও কয়েকটি দেশে তাদের পাঠানোর ব্যবস্থা করত।

তিনি গত দুই মাস কড়া নজরদারির পর সোমবার এ অভিযান চালানো হয়। এই চক্র দুই বছর ধরে সক্রিয়। লাখ লাখ রিঙ্গিত তারা আয় করেছে বলেও জানান তিনি।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি