ঝটিকা সফরে বাংলাদেশ হাইকমিশনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশিত : ২২:২২, ১৫ মার্চ ২০১৮
দুই দিনের সফরে মালয়েশিয়া এসে বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ হাইকমিশনের পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। এ সময় তিনি সাধারণ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রবাসীদের সেবা দিতে সরকার এবং মিশনের কর্মকর্তারা সবসময় আন্তরিক। মালয়েশিয়ায় যারা এসেছেন তাদের কিছু মেধার অভাব আছে। এই অভাব থাকার কারণে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করতে পারেননি। যারা সঠিক তথ্য উপস্থাপন করতে পারবেন তারাই পাসপোর্ট পাবেন এবং যারা তথ্য গোপন রাখবেন তাদের পাসপোর্ট কখনই পাবেননা। কারণ এখন আর হাতের লেখা পাসপোর্ট নয়। সম্পূর্ণ ডিজিটাল পাসপোর্ট। তথ্য গোপন করলেই পাসপোর্ট পেতে সমস্যা হবে।
এদিকে, প্রবাসীরা সেবা নিতে এসে যাতে ভোগান্তির শিকার না হন সে দিকেও নজর রাখতে বলেন কর্তৃপক্ষকে।
এ সময় বাংলাদেশ হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম, পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ডাইরেক্টর জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান পিএফসি, ডেপুটি হাইকমিশনার, ডিফেন্স উইং মো. হুমায়ুন কবির, লেবার কাউন্সিলর সায়েদুল ইসলাম, দূতালয় প্রধান ওয়াহিদা আহমেদ, মিনিস্টার রইছ হাসান সারোয়ার, প্রথম সচিব মাসুদ হোসাইন, কমার্শিয়াল উইং রাজিবুল আহসান, প্রথম সচিব শ্রম মো. হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল, পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রথম সচিব মো. মশিউর রহমান তালুকদার, প্রথম সচিব তাহমিনা ইয়াসমিন, পাসপোর্ট বিভাগের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর মেজর আবেদ, দূতাবাসের ২য় ফরিদ আহমেদ ও দূতাবাসের সকল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পাসপোর্ট ইস্যু হয়েছে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮০১টি। পাসপোর্টের আবেদন বা এনরোলমেন্ট করা হয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার। এছাড়া গত বছর ৪ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশিকে পাসপোর্ট সেবা দেওয়া হয়েছে।
এক দিনে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫০০ পাসপোর্ট ডেলিভারি ও প্রায় ২ হাজার নতুন পাসপোর্ট তৈরির আবেদন গ্রহণ বা এনরোলমেন্ট করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে আড়াই হাজার লোকের সেবা দেয়া হচ্ছে বলে দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে।
টিকে
আরও পড়ুন