এমপি পাপুল রিমান্ডে, পাবে কনস্যুলার অ্যাকসেস
প্রকাশিত : ১৩:০৫, ৯ জুন ২০২০
সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলাম পাপুল
মানব পাচার ও অর্থ পাচারের অভিযোগে কুয়েতে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলাম পাপুলকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। কুয়েতের রেসিডেন্স ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের আবেদনে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেয় কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশন বিভাগ। এ ব্যাপারে পাপুলকে ‘কনস্যুলার অ্যাকসেস’ দেয়ার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশের যে কোন নাগরিক পৃথিবীর যে কোনও দেশে সমস্যায় পড়লে তাকে আমরা কনস্যুলার সার্ভিস (দেশের নাগরিক হিসেবে সব ধরনের সেবা) দিয়ে থাকি। উনিও (কাজী পাপুল) এ দেশের নাগরিক। তিনি চাইলে আমরা এই সুবিধা দেব। আমাদের দূতাবাস এটা নিয়ে কাজ করছে।’
কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো এমপি পাপুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে দূতাবাস কুয়েত সরকারকে চিঠিও দিয়েছে। তবে গতকাল সোমবার পর্যন্ত কুয়েত পুলিশ নতুন কোনো তথ্য দেয়নি।
উল্লেখ্য, কুয়েত রেসিডেন্স ইনভেস্টিগেশন বিভাগ শনিবার রাতে মুশরেফ এলাকা থেকে আটক করে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি পাপুলকে গ্রেফতার করে। রবিবার ৫ জন প্রবাসী বাংলাদেশির সাক্ষ্যগ্রহণের পর পাপুলের জামিন আবেদন নাকচ করেছে আদালত। তাকে ওই দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
কুয়েত দূতাবাসের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মুদ্রা ও মানব পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার বাংলাদেশি সাংসদ মো. শহীদুল ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন প্রবাসী ৫ জন বাংলাদেশি। সাক্ষীদের সবাইকে কুয়েতে নিয়েছিলেন পাপুল। আদালতে তারা বলেছেন, কুয়েত আসার এজন্য তারা পাপুলকে ৩ হাজার কুয়েতি দিনার করে দিয়েছেন। এ ছাড়া প্রতিবছর আকামা নবায়নের জন্য দিয়েছেন ৩০০ দিনার বা তারও বেশি।
স্থানীয় দৈনিক আরব টাইমস তাদের এক সংবাদে জানায়, বিচারকমণ্ডলী প্রবাসীদের বক্তব্য শুনেছেন। প্রতিবছর কুয়েতে তাদের অবস্থান নবায়ন করে নিতে এসব সাক্ষীর আসামিকে অর্থ প্রদানের বিষয়েও তারা অবহিত হয়েছেন।
এএইচ/
আরও পড়ুন