ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী : লন্ডনে আলোকচিত্র প্রদর্শনী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:১৪, ৭ আগস্ট ২০২১

বাংলাদেশের আধুনিক ক্রীড়াঙ্গনের রূপকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন ‘উদ্দীপ্ত তারুণ্যের অগ্রদূত’ শীর্ষক সপ্তাহব্যাপী এক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বৃহস্পতিবার এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।

ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমের সভাপতিত্বে ‘শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল রিমেম্বারিং এ ভেলিয়েন্ট ফ্রিডম ফাইটার’ শীর্ষক এই স্মারক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, বুদ্ধিজীবী, শেখ কামালের সহপাঠি ও ‘৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর সহযোদ্ধারা বাঙ্গালি জাতির অদম্য তারুণ্যের শ্বাশত প্রতীক শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি যুব ও  ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া উন্নয়নে শহীদ শেখ কামালের অনন্য অবদান স্মরণ করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ক্রীড়াঙ্গনে শেখ কামালের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে । যার মধ্যে রয়েছে শেখ কামালের নামে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আন্তর্জাতিক মানের ষ্টেডিয়াম ও ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণএবং তাঁর ওপর তথ্যচিত্র ও বিভিন্ন গ্রন্থ প্রকাশ। তিনি বলেন, আজ বিশেষ করে বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে বাংলাদেশ যে মর্যাদা অর্জন করে অব্যাহতভাবে এগিয়ে চলেছে তার মূলভিত্তি শেখ কামালই তৈরি করেছেন।

স্বাগত বক্তব্যে হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল বাঙালি জাতির জীবনে এক মৃত্যুঞ্জয়ী তারুণ্যের দূত। ক্ষণজন্মা এ চির তরুণের জীবনাদর্শ বর্তমান প্রজন্মের যুব ও তরুণ সমাজের জন্য সার্বজনীন প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

হাইকমিশনার বলেন, স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে বিশেষত ফুটবল, ক্রিকেট এবং বাস্কেট বলে তিনি অসাধারণ প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। আবাহনী ক্লাব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি সুদক্ষ ক্রীড়া সংগঠক হিসেবেও বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসে চির ভাস্বর হয়ে থাকবেন। পাশাপাশি তিনি সদ্য স্বাধীন দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সুদৃঢ় ভিত্তি গড়ে তোলার জন্য গ্রুপ থিয়েটার প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং দেশের প্রথম ব্যান্ড-সঙ্গীত দল ‘স্পন্দন’ প্রতিষ্ঠা করে বাংলা সঙ্গীতকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার দ্বার উন্মোচন করেছেন।

দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন,‘তাঁর বর্ণাঢ্য জীবন এবং সুবিস্তৃত কর্ম ও অপরিসীম অবদান সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মকে বিশেষ করে যুক্তরাজ্য প্রবাসী ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণদের অবহিত ও আরো সচেতন করার জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশন,লন্ডন এক বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। এই প্রদর্শনী ১৩ আগস্ট পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।’ হাইকমিশনার যুক্তরাজ্য প্রবাসী ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে এই বিশেষ আলোক চিত্র প্রদর্শনী দেখার সাদর আমন্ত্রণ জানান। 

স্মারক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি যুক্তরাজ্য প্রবাসী প্রথিতযশা সাংবাদিক ও মহান একুশের অমর সংগীতের রচয়িতা আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী শেখ কামালকে ‘ম্যান অব দ্য হাউজ’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তাঁর জেষ্ঠ্য পুত্র শেখ কামাল ছিলেন বঙ্গমাতার প্রধান অবলম্বন। তিনি পরিবারের অন্যতম অভিভাবকের ভূমিকা নিয়ে সবার দেখা-শোনা করতেন। 

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে শেখ কামালের কয়েকজন সহপাঠী ও ঘনিষ্টবন্ধু এবং আবাহনী ক্রীড়াচক্র ও মুক্তিযুদ্ধের সতীর্থরা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ক্রীড়াঙ্গন ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শেখ কামালের অসাধারণ অবদানের কথা উল্লেখ করেন। এদের মধ্যে ছিলেন আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সাংসদ হারুনুর রশিদ এবং শেখ কামালের সহপাঠী ও ঘনিষ্ট বন্ধু ড. হাবিবুল হক খন্দকার, তৌহিদ হোসেন বাদল ও ড. মেহরাজ জাহান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ও  জাতির পিতা  বঙ্গবন্ধুসহ ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ও তাঁদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত করা হয়। এর পর শেখ কামালের জীবনের ওপর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নির্মিত একটি প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।  

স্মারক অনুষ্ঠানে  যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, ইউরোপ ও মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশসহ বাংলাদেশ থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ তরুণ প্রজন্মের অনেক বাংলাদেশি অংশ গ্রহণ করে শেখ কামালের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি