ঢাকা, শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪

আফগানিস্তান থেকে বাংলাদেশি কর্মীদের ফিরিয়ে আনছে ব্রাক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:১৪, ১৪ আগস্ট ২০২১ | আপডেট: ১৫:১৫, ১৪ আগস্ট ২০২১

বেসরকারি এনজিও ব্র্যাক জানিয়েছে, আফগানিস্তানে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীদের ফিরিয়ে আনতে শুরু করেছে তারা। বাংলাদেশি সংস্থাটি গত উনিশ বছর ধরে আফগানিস্তানে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। মূলত শিক্ষা, স্বাস্থ্য, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত সহায়তা, মানবিক সহায়তা ও খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত ইস্যুতে সেখানে কাজ করে ব্রাত।

আফগানিস্তানে তালেবান ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এমন সিদ্ধান্ত নিলো ব্র্যাক। তবে ব্র্যাকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আফগানিস্তানে তাদের কার্যক্রম চলবে। সেখানকার স্থানীয় কর্মীরাই চলমান প্রকল্পগুলো অব্যহত রাখবেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, আফগানিস্তানে সংস্থাটির ৩০০০ কর্মীর মধ্যে ১৪ জন বিদেশি নাগরিক রয়েছে। সেখানে অবস্থানরত সব কর্মীদেরই শুক্রবার (১৩ আগস্ট) থেকে ফিরিয়ে আনতে শুরু করেছে। বেশ কয়েকজন এরই মধ্যে রওয়ানা দিয়েছে। আর যারা আফগানিস্থানের বাইরে ছুটি কাটাচ্ছিলেন, তাদের আপাতত কর্মস্থলে ফিরে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক শামেরান আবেদের বরাত দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আফগানিস্তানে কর্মরত কর্মীদের ঝুঁকি নিরসন করে তাদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্র্যাক।’

এমন সময়ে ব্র্যাকের এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হলো যখন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য তাদের কূটনীতিবিদ ও নাগরিকদের বের করে আনার জন্য কাবুলে সৈন্য পাঠিয়েছে। তালেবানরা দেশটির যত বেশি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করেছে, সেই সঙ্গে বিদেশি নাগরিকরা দেশটি ছাড়তে শুরু করেছেন।

আফগানিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা যাচ্ছে, কানাডাও দেশটি থেকে তাদের নাগরিকদের নিরাপদে বের করে আনার জন্য সৈন্য পাঠাবে বলে মনস্থ করেছে।

কাবুলে বাংলাদেশের কোন দূতাবাস নেই। পাশের দেশ উজবেকিস্তান থেকে আফগানিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ইস্যুগুলো দেখভাল করা হয়।

উল্লেখ্য, আফগানিস্তানের দশটি প্রাদেশিক রাজধানী ইতোমধ্যেই তালেবানের দখলে চলে গেছে। তার সাথে যোগ হয়েছে হেরাত ও কান্দাহারের মত গুরুত্বপূর্ণ শহরও। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এক মূল্যায়নে বলা হয়েছে, আফগান নিরাপত্তা বাহিনী যেভাবে ভেঙে পড়েছে তাতে কয়েক মাস বা এমনকি কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কেন্দ্রীয় রাজধানী কাবুলের পতন হতে পারে।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি